1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
মূল এডিপি থেকে ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বাদ - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন

মূল এডিপি থেকে ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বাদ

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ১৯ মারচ, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: ২০১৯-২০ অর্থবছরে মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছিল দুই লাখ দুই হাজার ৭২১ কোটি টাকা। তবে সংশোধিত এডিপি (আরএডিপি) ধরা হয়েছে এক লাখ ৯২ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থ বছরের ৯ মাসের মাথায় এসে ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা কমানো হলো।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় চলতি অর্থবছরের জন্য এক লাখ ৯২ হাজার ৯২১ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত আরএডিপি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ও এনইসির চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। এ সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মূল এডিপিতে চলতি অর্থবছরের দুই লাখ দুই হাজার ৭২১ কোটি টাকার মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস এক লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ৬২ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়। তবে আরএডিপির এক লাখ ৯২ হাজার ৯২১ কোটির মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস এক লাখ ৩০ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ৬২ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। অর্থাৎ দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস স্থির রয়েছে এবং ৯ হাজার ৮০০ কোটির পুরোটাই কমেছে বৈদেশিক ঋণ বা উৎসের টাকা।

বরাদ্দ কমতির এ হার মোট এডিপি বরাদ্দের ৪ দশমিক ৮৩ ভাগ এবং বৈদেশিক উৎসের ১৩ দশমিক ৬৫ ভাগ।

ঋণের টাকা খরচ করতে না পারলেও দেশের টাকা খরচের কারণ কী এমন প্রশ্নে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এখানে দুইটা সিস্টেম কাজ করে। যারা আমাদের ঋণ দেয়, যেমন বিশ্ব ব্যাংক। তাদের নিজস্ব একটা নীতিমালা আছে। তাদের অনেক পর্যায় আমাদের সঙ্গে ম্যাচ হয় না। না হওয়ার দরুণ দেরি হয়। ফলে এফিসিয়েন্সি কমে, সাফার (ভোগান্তি) করে। এটা শুধু আমরা সাফার করি না, পৃথিবীর যত দেশ আছে, তাদেরকেও এটা মোকাবিলা করতে হয়। এজন্য আমাদের বা সরকারের টাকা কম-বেশি খরচ করতে পারছি। নিজস্ব নিয়মকানুন আছে। কিন্তু ঋণদাতা সংস্থাদের নিয়ম মানতে গেলে অনেক সময় যথাসময়ে টাকা পাওয়া যায় না।’

সূত্র জানায়, আরএডিপিতে সর্বোচ্চ খাতভিত্তিক বরাদ্দের মধ্যে প্রথমে রয়েছে পরিবহন (বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ৪৭ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা, যা ২৪ দশমিক ৫৯ ভাগ)। এরপর ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন (প্রায় ২৬ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা, যা ১৩ দশমিক ৯১ ভাগ), বিদ্যুৎ (প্রায় ২৩ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা, যা ১২ দশমিক ২৫ ভাগ), শিক্ষা ও ধর্ম (প্রায় ২০ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা, যা ১০ দশমিক ৫৯ ভাগ), বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (প্রায় ১৬ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা, যা ৮ দশমিক ৭০ ভাগ), গ্রামীণ অর্থনীতি তথা পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান (প্রায় ১৫ হাজার ৭৫৫ কোটি, যা ৮ দশমিক ১৭ ভাগ), স্বাস্থ্য, পুষ্টি জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ (প্রায় ১০ হাজার ১০৯ কোটি, যা ৫ দশমিক ২৪ ভাগ), কৃষি (প্রায় ৬ হাজার ৬০৯ কোটি, ৩ দশমিক ৪৩ ভাগ), পানি সম্পদ (প্রায় ৬ হাজার ৩৬৮ কোটি, যা ৩ দশমিক ৩০ ভাগ) এব জনপ্রশাসন (প্রায় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা, যা ২ দশমিক ৬৭ ভাগ)।

মন্ত্রণালয়/বিভাগভিত্তিক সর্বোচ্চ বরাদ্দের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে স্থানীয় সরকার বিভাগে ৩০ হাজার ৫৮৯ কোটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ২৩ হাজার ৯৫৯ কোটি, বিদ্যুৎ বিভাগে ২৩ হাজার ৬৩১ কোটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ১৫ হাজার ৯০৮ কোটি, রেল মন্ত্রণালয়ে ১০ হাজার ২৪৯ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৯ হাজার ১৬ কোটি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে ৭ হাজার ৬৮৬ কোটি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে ৭ হাজার ৪৫০ কোটি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৬ হাজার ৮৯৮ কোটি এবং সেতু বিভাগে ৬ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST