খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সর্বোচ্চ সম্মাননা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। মোদিকে এমন সম্মাননা দিয়ে লজ্জাহীনতার পরিচয় দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।
ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের সর্বদলীয় হুররিয়াত কনফারেন্সের নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ গিলানি বলেছেন, মোদিকে পদকটি দেয়া হয়েছে রাজতান্ত্রিক সরকারের পক্ষ থেকে। এতে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নেই। তবে আমিরাতের এই পদক্ষেপে কাশ্মীরি জনগণ হতাশ।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পুরস্কৃত করায় সংসদীয় প্রতিনিধি দলের আরব আমিরাত সফর বাতিল করেছেন পাকিস্তানের সিনেট চেয়ারম্যান সাদিক সাঞ্জরানি।
বিশ্ববিখ্যাত আলেম, পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শরীয়া বেঞ্চের সাবেক বিচারপতি মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি রবিবার এক টুইট বার্তায় বলেন, হায় আফসোস! লক্ষ লক্ষ মুসলমানের রক্তে লাল হল যার হাত, মুসলমানদের ভূখণ্ড ছিনিয়ে নিয়ে গোটা কাশ্মীরকে কারাগারে পরিণত করল যে ব্যক্তি, যার কারণে কাশ্মীরে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় গণহত্যা ঘটতে যাচ্ছে, সেই ব্যক্তিই কিনা এক আরব মুসলিম দেশ থেকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মর্যাদা পেয়েছেন। সেদেশের জন্যে এর চেয়ে বড় লজ্জা ও লাঞ্ছনা আর কী হতে পারে!
এর আগে ব্রিটিশ আইনপ্রনেতা নাজ শাহ এক খোলা চিঠিতে মোদিকে এই সম্মাননা না দিতে আমিরাত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। চিঠিতে তিনি বলেছিলেন, আমাদের সঙ্গে বসবাসরত হাজারো কাশ্মীরি নয়, বরং আমি নিজেকে একজন কাশ্মীরি হিসেবে চিন্তা করে আপনাদের সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছি।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের স্বায়ত্ত্বশাসন ও সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো কাশ্মীরে গণহত্যার আশঙ্কা করছেন। গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের আগে থেকেই গৃহবন্দী হয়ে আছে কাশ্মীরের মানুষ।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন