খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আটকের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞানের অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ এবং ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকি বিল্লাহকে ‘মুচলেকা নিয়ে’ ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের ওপর সশস্ত্র হামলা, গ্রেফতার-নির্যাতন এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিকদের ব্যানারে এই প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার ৪টার দিকে কর্মসূচি শুরুর কথা ছিল। সেখানে যোগ দিতে লোকজন জড়ো হতে শুরু করলে পুলিশ তাদের আটক করতে থাকে। একপর্যায়ে অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ ও ছাত্রনেতা বাকি বিল্লাহসহ কয়েকজন আটক করে পুলিশ।
উপস্থিত লোকজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফাহমিদুল হকসহ কয়েকজনকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিতে সক্ষম হন। তবে অধ্যাপক রেহনুমা ও ছাত্রনেতা বাকিকে প্রিজনভ্যানে করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।
পরে অধ্যাপক রেহনুমা বলেন, ‘প্রেসক্লাব থেকে আমাদেরকে একটি প্রিজনভ্যানে করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে লিখিত মুচলেকা দেয়ার পর আমরা থানা থেকে বের হয়ে আবার প্রেসক্লাবে আসলাম।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে কয়েকজন এই কর্মসূচির আয়োজন করে। কোনো সংগঠন কর্মসূচির আয়োজন করলে আমরা বাধা দেই না। যেহেতু উস্কানিমূলক পোস্টের মাধ্যমে এই কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়, তাই আমরা তাদের এখানে দাঁড়াতে দেইনি।
এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে সেখানে ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ও গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ অভিভাবক ও বিশিষ্টজনরা।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ