খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: ‘মুক্ত খালেদা জিয়া ছাড়া বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হবে না। জনপ্রতিরোধ রচনা করা হবে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত। কোন অগণতান্ত্রিক শক্তিই জনগণের এ জাগরণকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের চেয়েও জোরালো আন্দোলন রচিত হবে’-এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। সালাম বলেন, সবকিছুর একটা সীমা আছে। সরকার সকল সীমা অতিক্রম করেছেন। এখন সময় হচ্ছে ধাক্কা দেয়ার।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ব্যানারে নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডে আব্দুল্লাহ চায়নিজ পার্টি হলে বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে খালেদার জিয়ার আরেক উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি বলেন, জেল-জুলুম, গুম-খুন কোনকিছুই জনরোষ থামাতে পারবে না। বিএনপির শর্ত অনুযায়ী সরকারকে সংলাপে এসে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতেই হবে।
জাসাসের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি ও চিত্রনায়ক হেলাল খান বলেন, গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী বেগম জিয়াকে সাজানো মামলার রায়ে কারাগারে নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্র কেউ মানবে না। তাই এখন সময় হচ্ছে দুর্বার আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণের।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সম্রাটের সভাপতিত্বে সমাবেশটি পরিচালনা করেন ব্রুকলীন বিএনপির সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দি।
এসময় উপস্থিত মাঠের কর্মীরা দাবি জানান দুর্বার আন্দোলনের। এর আগে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছিলেন যে, ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে, কোথায় সেই কর্মসূচি-এমন জিজ্ঞাসার জবাবে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি বর্তমানে এমন এক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে যে, আন্দোলনের রূপরেখার প্রয়োজন হবে না। স্বতঃস্ফুর্তভাবে জনগণ মাঠে নামবেন।
যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, অন্যতম সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সোলায়মান ভূইয়া এবং আলহাজ্ব বাবরউদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের এবং সেক্রেটারি কাওসার আহমেদ, তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সংগ্রাম পরিষদের চেয়ারপার্সন ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা পারভেজ সাজ্জাদ, আলহাজ্ব মাহফুজুল মাওলা নান্নু, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে আব্দুল লতিফ সম্রাট বলেন, ১/১১ পরবর্তী সময়ের ন্যায় নিউইয়র্ক থেকে আন্দোলনের বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয়া হবে গোটাবিশ্বে। জাতিসংঘের সামনে, হোয়াইট হাউজ ও ক্যাপিটল হিলের সামনে মানববন্ধনই শুধু নয়, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সমীপে স্মারকলিপি দিতে হবে। নিজ নিজ এলাকার সিনেটর/কংগ্রেসম্যানের সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে হবে বাংলাদেশের এই ‘চরম সংকট’ উত্তরণে।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।