1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
”মি-টু” বির্তক এইবার বাংলাদেশে - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন

”মি-টু” বির্তক এইবার বাংলাদেশে

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮
মডেল, অভিনেত্রী ও পাইলট মাকসুদা আখতার প্রিয়তি

খবর২৪ঘন্টা বিনোদন ডেস্কঃ

এক শিল্পপতির বিরুদ্ধে মডেল প্রিয়তির যৌন হয়রানির অভিযোগ ফেসবুকে আলোড়ন তুলেছে। বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকজন নারী তাদের যৌন হয়রানির শিকার হবার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করার পর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে – যাকে অনেকে মি-টু আন্দোলনের ধারাবাহিকতা বলে মনে করছেন।

এর একজন হলেন মাকসুদা আখতার প্রিয়তি, তিনি আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত একজন বাংলাদেশী-বংশোদ্ভূত মডেল, অভিনেত্রী ও পাইলট। তিনি ফেসবুকে ২৯ অক্টোবর প্রথম একটি পোস্ট দিয়ে অভিযোগ করেন যে বাংলাদেশের রঙধনু শিল্প গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ২০১৫ সালে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন।

মাকসুদা আখতার প্রিয়তি বিবিসি বাংলাকে বলেন, এ ঘটনা নিয়ে আইরিশ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি, যা ইন্টারপোলের মাধ্যমে বাংলাদেশে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলামের সাথেও বিবিসি বাংলার কথা হয়েছে। এতে তিনি এ অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেছেন, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি।

কিন্তু প্রিয়তি ৩০শে অক্টোবর ফেসবুক লাইভে এসে একটি ভিডিও বিবৃতি দেন, যাতে তিনি বিস্তারিত বর্ণনা দেন কিভাবে মি. ইসলাম ২০১৫ সালের মে মাসে ঢাকায় তার অফিস কক্ষে তার ভাষায় ‘অশালীনভাবে তার দেহের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করেন এবং পরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।’ এই বিবৃতির ভিডিওটি এখন ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং নানা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

অনেক নারী-অধিকারকর্মী যৌন নিপীড়নের ঘটনা প্রকাশ করার জন্য তার সাহসের প্রশংসা করেছেন, আবার অন্য অনেকে তার বিরূপ সমালোচনাও করছেন। ভিডিওটিতে প্রিয়তি বলেন, মি. রফিকুল ইসলামের প্রতিষ্ঠানের একটি পণ্যের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করার সূত্রে তার সাথে পরিচয় হয় তার। এর পর তিনি একদিন মি ইসলামের অফিসে তার সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে ওই ঘটনা ঘটে। ‘হয়রানি না, ধর্ষণের চেষ্টা’

তিনি বলেন, রফিকুল ইসলাম যা করেছেন তাকে যৌন হয়রানি বা আক্রমণ বললে কম বলা হয়, তিনি তার চেয়ে বেশি করেছেন, তিনি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন ঘটনাটি ঘটে তার ভাষায় মি. ইসলামের ‘অত্যন্ত সুরক্ষিত’ অফিস কক্ষে। তার সঙ্গে আরেকজন মহিলা ছিলেন যিনি উভয়ের পরিচিত, তবে মি. ইসলাম একান্তে কথা বলার কারণ দেখিয়ে তাকে ঘর থেকে বের করে দেন।

“এর পর তিনি আমার জামার ভেতর হাত ঢুকিয়ে দেন। …তার পর আমাকে টেবিলের ওপর ফেলে সারা শরীরে নোংরাভাবে হাত দেন, কাপড়ের নিচের অংশ খুলতে থাকেন।” “আমার মনে হচ্ছিল আমি কিভাবে এখান থেকে বের হবো। আমি জানি চিৎকার করে কোন লাভ হবে না কেউ শুনবে না।আমার ব্রেন কাজ করছিল না।”

প্রিয়তি বলেন, এর পর রেহাই পাবার জন্য তিনি বলতে থাকেন যে মি. ইসলাম যা চাইছেন তাতে তিনি সম্মতি দিচ্ছেন – কিন্তু ‘অন্য একদিন সময় নিয়ে আসার’ কথা বলেন। প্রিয়তি বলেন, এর পর রফিকুল ইসলাম শান্ত হন এবং বলেন, তিনি তার দেখাশোনার দায়িত্ব নিতে আগ্রহী। প্রিয়তি বলেন, এভাবেই তিনি রফিকুল ইসলামের কক্ষ থেকে বেরুতে সক্ষম হন এবং সেই মহিলাকে কি হয়েছে খুলে বলেন। কিন্তু তার সান্ত্বনা দেয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না বলে উল্লেখ করেন প্রিয়তি।

‘অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা’ তবে রফিকুল ইসলামের সাথে বিবিসি বাংলার কথা হলে তিনি বলেন, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি, প্রিয়তিকে তিনি চেনেন না। তার প্রতিষ্ঠানে পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য অনেক মডেল কাজ করে, তাদের সাথে তার সরাসরি যোগাযোগও হয় না। “এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাকে আমার সামনাসামনি করেন, এবং একটা এভিডেন্স তাকে দেখাতে বলেন যে তার সাথে এরকম কোন আচরণ আমি করেছি” – বলেন তিনি।

মি. ইসলামের কথা: আসন্ন নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে চান, এবং তার আগে একজন স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার সুনাম নষ্ট করার জন্য অপপ্রচার হিসেবে এসব করাচ্ছেন। মি. ইসলাম আরো বলেন, তিনি এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আইনী ব্যবস্থা নেবার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে এতদিন পরে এমন সময় অভিযোগ তোলা হচ্ছে কেন? এতদিন পর অভিযোগ করার কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল প্রিয়তির কাছে ।

জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনাটা ছিল আমার জন্যে একটা আঘাত, একটা অপমান। এই ভয়টাকে জয় করা একটা সময়ের ব্যাপার। আমি তখন দেশ থেকে বের হতে পারবো কিনা সেই ভয় ছিল, জীবনের ভয় ছিল। কিন্তু সময় আমাকে সেই শক্তি সঞ্চয় করতে সহযোগিতা করেছে।” তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন দেশে #মি-টু আন্দোলনে যে ভাবে মেয়েরা যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন – তা তাকে অনুপ্রাণিত করেছে। “এখন কেউ মুখ খুললে অন্যরা তার পাশে দাঁড়াচ্ছে, তাকে সমর্থন দিচ্ছে। তিন বছর আগেও এ পরিবেশ ছিল না।” সূত্র: বিবিসি

খবর২৪ঘন্টা / সিহাব

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST