1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
মিয়ানমারে দুই সাংবাদিকের রায় পেছালো - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানয়ারী ২০২৫, ০৯:০১ অপরাহ্ন

মিয়ানমারে দুই সাংবাদিকের রায় পেছালো

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের তথ্য সংগ্রহের সময় গ্রেপ্তার রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনের মামলার রায় এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার এই রায় ঘোষণার কথা থাকলেও এ মামলা বিচারের দায়িত্বে থাকা বিচারকের ‘অসুস্থতার’ কারণে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রায় স্থগিত রাখা হয়েছে।

ইয়াংগনের জেলা জজ আদালত গত ৯ জুলাই সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) এবং কিয়াও সো ওর (২৮) বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচার শুরু করে।
রয়টার্সের দুই সাংবাদিক সেদিন আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বলেন, সংবাদিকতার সব নিয়মই তারা অনুসরণ করেছেন।

ঔপনিবেশিক আমলের ওই আইনে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তাদের ১৪ বছর পর্যন্ত কারাগারে কাটাতে হতে পারে।
রয়টার্স লিখেছে, পশ্চিমা কূটনীতিবিদের কেউ কেউ এবং কোনো কোনো অধিকার সংগঠন এই বিচারকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়ায় থাকা মিয়ানমারের জন্য একটি পরীক্ষা হিসেবে দেখছেন।
রায় ঘোষণার কথা থাকায় বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক ও বিদেশি কূটনীতিক সোমবার ইয়াংগনের আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে মামলা বিচারের দায়িত্বে থাকা বিচারক ইয়ে লইনের বদলে কিন মং মং নামের আরেকজন বিচারক এসে রায়ের তারিখেএক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানান।

দুই সাংবাদিকের আইনজীবী কিন মং জ সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলার রায় ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে বলে বিচারক কিন মং মং জানিয়েছেন। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারকই ওই রায় ঘোষণা করবেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংবাদিক ওয়া লোনকে যখন সকালে আদালতে নেওয়া হচ্ছিল, তার মুখে ছিল হাসি, আঙুল তুলে তিনি ‘থাম্বস আপ’ চিহ্নও দেখান। এ সময় তার পিছনেই ছিলেন কিয়াও সো।

রায়ের তারিখ পিছিয়ে যাওয়ার পর আদালত থেকে বের হওয়ার সময় ওয়া লোন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ভীত নই, কুণ্ঠিতও নই। সত্য আমাদের পক্ষে।
যই ঘটুক না কেন, আমরা ভেঙে পড়ব না। ওরা আমাদের দুর্বল করতে পারবে না।”
২০১৬ সালে রয়টার্সে যোগ দেওয়া সাংবাদিক ওয়া লোন রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ বিভিন্ন ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করেছেন। আর কিয়াও সো ও গতবছর সেপ্টেম্বর থেকে রয়টার্সের প্রতিবেদক হিসাবে কাজ করে আসছিলেন।
ইয়াঙ্গনে পুলিশ কর্মকর্তাদের এক ডিনারের আমন্ত্রণে যাওয়ার পর গত ১২ ডিসেম্বর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাখাইনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গোপন নথিপত্র ছিল তাদের কাছে।

পরে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ওয়া লোন এবং কিয়াও সো ও রাখাইনের সেনা অভিযানের সময় এক গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করে লাশ পুঁতে ফেলার একটি ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান করছিলেন।
পরিবারের সদস্যদের পরে তারা বলেছিলেন, ইয়াঙ্গনের এক রেস্তোরাঁয় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে দুই পুলিশ সদস্য তাদের হাতে কিছু মোড়ানো কাগজ ধরিয়ে দেন এবং এর পরপরই সেখান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংগঠন দুই সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে তাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানালেও মিয়ানমার সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।
গত ৯ জুলাই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশে বলা হয়, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে অভিযোগ এনেছে। সেখানে বলা হয়েছে, তারা জাতীয় নিরাপত্তাকে হমকির মুখে ফেলার উদ্দেশ্য নিয়ে সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে স্পর্শকাতর তথ্য ও নথি সংগ্রহ করেছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী গত ২ জুলাই এ মামলা বাতিলের আবেদন জানিয়ে বলেছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারেনি। সংবাদ সংগ্রহে বাধা দিতেই ঘটনা সাজিয়ে দুই সাংবাদিককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে সেদিন আদালতে বলা হয়, রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে যখন গ্রেপ্তার করা হয় তাদের কাছে সেনাবাহিনীর গতিবিধির বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত নথি পাওয়া যায়। আর মোবাইলে পাওয়া যায় বিভিন্ন মাত্রার গোপনীয় তথ্য।

রয়টার্স লিখেছে, মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ তাই এ মামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তার দাবি, মিয়ানমারের আদালত স্বাধীন এবং আইন অনুযায়ীই এ মামলার নিষ্পত্তি হবে।

/জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST