নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের মিনি কক্সবাজার নামক হালতিবিলের খাজুরা গ্রামের প্রত্যান্ত অঞ্চলে যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেঁটেও যাতায়াত করা সম্ভব হত না। বর্ষকালে বন্যা-বৃষ্টিতে রাস্তা-ঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে জন সাধারনের চলাচল বন্ধ হয়ে যেত। এমন পরিস্থিতিতে সরকারী ভাবে টিআর কাবিখা ও কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন টেকসই রাস্তা নির্মাণ করেছে। হালতিবিলের দূর্ভোগ কমেছে এই রাস্তাটি হওয়ায় স্থানীয়দের। এদিকে বর্ষায় কালে মিনি কক্সবাজারে নামক হালতির বিলে পর্যটক বেশি আসবে বলে মনে করছেন এখানকার জনগন ।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারী ভাবে অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচীর আওতায় পাঁচটি প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন নতুন টেকসই রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এতে দূর্ভোগ কমেছে স্থানীয়দের। বর্ষা মৌসুমে এখানে শুধু নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হত এখানকার বাসিন্দাদের। এতে নৌকা ডুবে অনেক মানুষ মারা গেছে ইতিপূর্বে । এখন স্থানীয়দের দাবি রাস্তাটি পাকা করন ও দু-ধারে গাছ লাগানো যাতে বর্ষায় রাস্তাটি ভেঙ্গে না যায় ।
নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রেজা হাসান জানান, আন্তগ্রাম সংযোগের জন্য ২৫ কিলোমিটার টেকসই রাস্তার কাজ সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে শেষ হওয়ায় সুফল পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। তিনটি গ্রামে প্রায় ৫০হাজার মানুষ এই রাস্তার সু-ফল পাবে। রাস্তাটি পাকা হলে তিনটি গ্রামের যাতায়াত ও নলডাঙ্গা উপজেলা সংযোগ এবং নাটোর সদরে যাতায়াত সু-ব্যবস্থা হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দিকা জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কাজগুলো তদাররি করেছেন সংসদ সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এই কারনে রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে সকল বিভাগে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে চলেছেন। সরকারী ভাবে অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচীর আওতায় পাঁচটি প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন নতুন টেকসই রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে ।
নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনের সাংসদ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শিমুল জানান, এ পর্যন্ত অনেক এমপি ,মন্ত্রী নাটোরে ছিল কিন্তু কেউ পা ফাটা মানুষে কথা চিন্তা করেনি, হালতি বিলের এমন কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে মানুষ পায়ে হেটে চলাচল করতে হত ,বর্ষায় নৌকা দিয়ে যাতায়াত করত্ োতাদের কষ্টের সিমা থাকতো না আমি নির্বাচিত হয়ে ওই সকল পা ফাটা, গরিব, অসহায় মানুষদের কথা ভেবে কাজ করছি, তারি ধারাবাহিকতায় হালতিবিলের মানুষের দূভোগের কথা ভেবে এই সকল রাস্তাগুলো করেছি। প্রকল্পের সঠিক অর্থের বাস্তবায়ন হলে দারিদ্র বিমোচনের পাশাপাশি গ্রামীণ যোগাযোগের ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হবে বলে মনে করেন তিনি।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।