নিজস্ব প্রতিবেদক : ১১ দিন পরে মায়ের কোলে ফিরে গেল রিহান নেওয়াজ (৭) নামের এক শিশু। আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে তার মা নওরিন আক্তার ঝুমুরের হাতে শিশুটির সম্মতিক্রমে তাকে তার মায়ের হাতে তুলে দেয়া হয়। এ সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাহেরা খাতুন মিলি ও নারী ও শিশুদের আইনি সহায়তা নিয়ে কাজ করা সংগঠন নবগদিগন্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রাজিয়া সুলতানা ও রাজপাড়া থানার এসআই রাজিউর , শিশুর দাদা ইয়াহিয়া সরকার ও অন্যান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
নবদিগন্ত সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রাজিয়া সুলতানা জানান, শিশু রিহানের মা নওরিন আক্তার ঝুমুর তাদের সংস্থায় অভিযোগ করেন যে, গত ৫ বছর আগে তার সাবেক স্বামী গোলাম কিবরিয়ার সাথে বনিবনা না হওয়ায় তার ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর টানা ৫ বছর ঝুমুর তাকে দেখাশোনা করে। গত কয়েকদিন আগে তিনি মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর তার বাবার বাড়ি থেকে বোনের বাড়ি রাজশাহীর কাঁঠালবাড়িয়ায় তার ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে আসেন। বিষয়টি জানতে পেরে ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর নগরীর রাজপাড়া থানাধীন হড়গ্রাম বাজার এলাকার বাসিন্দা ও তার সাবেক শ্বশুর ইয়াহিয়া সরকার জন্মদিনের কথা বলে শিশু রেহানকে তার কাছ থেকে নিয়ে যায়। কিন্ত ১০ দিন পার হলেও দিয়ে আসেনি। এমনকি কল দেয়া হলেও তার সাবেক শ্বশুর কল রিসিভ করেনি। এ অবস্থায় তিনি রাসিকের ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্মরণাপন্ন হলেও কোন লাভ হয়নি।
পরে শিশু রেহানের মা ঝুমুর তার সংস্থায় অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি ওই শিশুর মা ও খালাকে নিয়ে রাজপাড়া থানায় যান। থানার ওসির পরামর্শে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানার এসআই রাজিউর হড়গ্রামে তার সাবেক শ্বশুর ইয়াহিয়ার বাড়ি গিয়ে শিশুটিকে তার সম্মতিক্রমে তাদের কাছ থেকে নিয়ে মায়ের হাতে লিখিতভাবে তুলে দেন। শিশুটি নিজ ইচ্ছায় মায়ের সাথে যেতে রাজি হলে সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাহেরা খাতুন মিলি, তিনি ও থানার এসআই’র মাধ্যমে তার মায়ের হাতে তুলে দেয়া হয়। এ সময় শিশুর দাদা ইয়াহিয়া সরকারও উপস্থিত ছিলেন। ১১ দিন পর সন্তাকে পেয়ে কান্নায় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তার মা ঝুমুর।
এ বিষয়ে নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, শিশুর মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ পাঠিয়ে রাসিকের নারী কাউন্সিলের উপস্থিতে ওই শিশুর সম্মতিক্রমে তাকে তার মায়ের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
এস/আর