ঢাকাসোমবার , ৮ জুন ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মাস্ক-গ্লাভস ঠিকই পরছেন, এসব নিয়ম মানছেন তো?

Abir k24
জুন ৮, ২০২০ ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্কঃ লকডাউন শিথিলতার এই সময়ে অনেকেই স্বাভাবিক নিয়মেই বাইরে বের হচ্ছেন! তবে রোগমুক্তির কোনো লক্ষণ এখনো দেখা দেয়নি। তবুও জীবন ও জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে সবাই কর্মমুখী হয়েছেন!

তাই এই সময় করোনাকে অবহেলা না করে বরং আরো সতর্ক হয়ে দৈনিক কাজকর্ম সারতে হবে। সঙ্গে মজুত রাখতে হবে রোগ ঠেকানোর নানা হাতিয়ার। বাইরে বেরলে কী কী রাখবেন সঙ্গে? কী ভাবেই বা সাবধান হবেন?

> মাস্ক না পরে রাস্তায় বের হবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, উপযুক্ত উপায়ে মাস্ক ব্যবহারে করোনাকে রুখে দেয়া যায় প্রায় ৬০ শতাংশ। মাস্ক কখনো খোলা যাবে না, পরেই কথা বলুন অন্যের সঙ্গে।

> বারবার মাস্কের গায়ে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে মাস্কের গায়ে থাকা জীবাণু যেমন হাতে এমনকি মুখেও লেগে যেতে পারে। মাস্ক খোলা ও পরার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।

> চেষ্টা করুন তিন বা চার স্তরের মাস্ক পরতে। সার্জিকাল বা সুতির কাপড়ের মাস্ক পরুন। ব্যবহারের পর সার্জিকাল মাস্ক মুখবন্ধ কোনো ডাস্টবিনে অথবা পুড়িয়ে ফেলুন। সুতির মাস্ক পরলে ফিরে এসেই ধুয়ে দিন।

> সামনে বর্ষা কাল। তাই সবাই একাধিক সেট মাস্ক কিনে রাখুন। ভেজা মাস্ক পরলে জীবাণু সংক্রমণ দ্রুত ছড়ায়।

> করোনা রুখতে এখন এসএমএস দরকার। পুরনো এই শব্দের নতুন মানে তৈরি করেছেন চিকিৎসকরা। সোপ অ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স। এই তিন উপায় করোনার সঙ্গে যুদ্ধের প্রধান অস্ত্র। চেষ্টা করতে হবে এই তিন উপায়কে বন্ধু করে নিতে। 

> অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছে মাস্ক খুলে ফেলেন। নিজস্ব আলাদা কেবিন না থাকলে এই ভুল করবেন না। এছাড়াও সেন্ট্রাল এসি বা অফিসের গাড়ির এসি চললে মাস্ক বেঁধে রাখুন।

> দূরত্ব রাখুন সবার সঙ্গেই। এক ঘণ্টা অন্তর হাত স্যানিটাইজ করুন। দুই ঘণ্টা পরপর হাত সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

> হাতে গ্লাভস পরুন। বারবার চুলে বা চোখে-মুখে হাত দেয়ার প্রবণতা থাকলেও গ্লাভস ব্যবহার করুন। 

> গ্লাভস খোলার পর ভালো করে হাত ধুয়ে তবেই খাবার খান। গ্লাভসসহ টিফিনবক্স বা পানির বোতলে হাত দেবেন না।

> অফিসে বসার চেয়ারের মাঝে দূরত্ব বাড়িয়ে দিন। মুখোমুখি বসেও যেন তিন ফুট দূরত্ব থাকে। 

> এই সময় বাজারে বা দোকানে গেলেও দূরত্ব রাখুন। প্রয়োজনে হাতে সময় নিয়ে বের হন।

> গণপরিবহণে দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন। তবুও চেষ্টা করুন দূরত্ব বজায় রাখতে। 

> অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাক। একসঙ্গে ধূমপান করতে যাওয়াতেও রাশ টানুন। ধূমপান ছেড়ে দেয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। 

> কর্মক্ষেত্রের সব জিনিস স্যানিটাইজ করা হচ্ছে কি না সে দিকেও নজর রাখুন। 

> কারো হাঁচি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। মাস্ক না পরা সহকর্মী থেকে দূরে থাকুন। অফিসেও বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরুন।

> নিজের শরীরের দিকেও চোখ রাখুন। যদি জ্বর, কাশি ইত্যাদি উপসর্গ আপনার বা পরিবারের কারো দেখা দেয়, দায়িত্ব নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।খবর২৪ঘন্টা /এবি

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।