পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুনতাজ আলী প্রথমবারের চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেও ইতোমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। চলছে তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, মাইকিং ও গণসংযোগ। ইউনিয়নের প্রত্যেকটি গ্রামের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন ঘোড়া প্রতীকে ভোট চাইছেন।
ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উম্মাত আলীর কর্মি সমর্থক ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা একাধিকবার ঘোড়া প্রতীকের কর্মি সমর্থকেরা হামলা ও মারপিটের শিকার হয়েছেন। ভেঙে দেয়া হয়েছে তার তিনটি নির্বাচনী অফিস।
বুধবার সকালে তিনি পাবনা সদরের ঐতিহ্যবাহী টেবুনিয়া হাটে গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারণায় নামেন। সাধারণ ভোটারদের স্বতঃর্স্ফূত সমর্থন ও ভালোবাসায় সিক্ত হন। ভোটাররা তাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। স্থায়ী দোকানপাট, ভ্রাম্যমান দোকানপাট, ক্রেতা বিক্রেতাসহ হাটবাজারে আসা নানা শ্রেণির নারী ও পুরুষ ভোটারদের কাছে তিনি ঘোড়া প্রতীকে ভোট প্রত্যাশা করেন।
একাধিক সাধারণ ভোটার বলেন, ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ মুনতাজ আলী একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও সমাজসেবক। যে কোন মানুষের বিপদে আপদে তিনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। পাশে দাঁড়ান। ইউনিয়নবাসীর সুবিধার কথা বিবেচনা করে তিনি ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়ে আসছেন। এছাড়াও সামাজিক নানা সেবামূলক কাজকর্ম ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। মসজিদ, মাদরাসা, ঈদগাহ, গোরস্থান, বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে তার সহায়তার ছোঁয়া রয়েছে।
সাধারণ ভোটাররা বলেন, তিনি নিজেও ক্ষমতাসীন দলের একজন সমর্থক। তবুও দলীয় কোন ব্যানারে না গিয়ে তৃণমূল জনগণের সেবার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। একজন জনদরদী সেবকের জন্য দল নয়, মন মানসিকতাই সব চেয়ে বড় সম্পদ।
ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ মুনতাজ আলী বলেন, আমি আমার ইউনিয়নের জনগণের সেবা করতে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। ইউনিয়ন থেকে আমার চাওয়া পাওয়া নেই। তবে সরকারের সেবামূলক সকল কর্মসূচী সফল করতে এবং প্রাপ্যতার ভিত্তিতে সুবিধাভোগী মানুষের মধ্যে বন্টন করতে চাই। এলাকার উন্নয়ন করতে চাই।
তিনি বলেন, আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে নানা ধরণের হুমকি ধামকি দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর লোকজন। কিন্তু আমি জনগণের ভালোবাসায় এখনও শক্ত অবস্থায় নির্বাচনী মাঠে অবস্থান করছি। ইতোমধ্যে আমার নির্বাচনী বেশ কয়েকটি অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে মারপিট করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে আমার ভোটারদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আমি কোন ভয় ভীতি তোয়াক্কা করছি না।
আইন শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি চাই নির্বাচনের দিন ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোট তারা দিতে পারেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হোক এই দাবী তার।
সৈয়দ মুনতাজ আলী বলেন, ইতোমধ্যে ইউনিয়নের ১৩টি ভোট কেন্দ্রের আওতায় টেবুনিয়া, মজিদপুর, রানীগ্রাম, ভজেন্দ্রপুর, মনিদহ, ধরবিলা, মালিগাছা, মনোহরপুর, শয়ংকরপুর, রূপপুর, খোদায়েরপুর, গাছপাড়া, রামানন্দপুর, কুমারগাড়ি, ঘরনাগড়া, বাদালপাড়া, নওদাপাড়া, মালিগাছা কারিগড়পাড়া, মধ্যপাড়া, মজিদপুর হাটপাড়াসহ প্রত্যেকটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চেয়েছি। ব্যাপক সাড়া পেয়েছি তাদের কাছ থেকে।
তিনি বলেন, প্রত্যেক বাড়িতে নৌকার কর্মি সমর্থকেরা গিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। নৌকায় ভোট দিলে কেন্দ্রে যাবে, নইলে যাওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে যারা নির্বাচন করছেন, তাদের তালিকা তৈরী করে নৌকার লোকজন বাড়ি বাড়ি গভীররাতে গিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। বাড়ি ঘর ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া এবং প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে চাই প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ন হোক।
বিএ/