খবর২৪ঘন্টা ডেস্ক : অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে দেশটির ক্লাং এলাকার মেরু মার্কেট ভবনে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৫৯৮ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৮৫ জন বাংলাদেশি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস) জাফ্রি এমবোক তাহা বলেন, ভোর সাড়ে ৫ টায় শুরু হওয়া এই অভিযানে সন্দেহভাজন ৬৩০ অভিবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাদের মধ্যে থেকে ৫৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের বয়স ১৭ থেকে ৫৭ বছর।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে কয়েকজন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই-কমিশনারের (ইউএনএইসসিআর) কার্ডধারী বলে দাবি করেছেন। তবে তারা গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য এই দাবি করেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বারনামা বলছে, অভিবাসন কর্তৃপক্ষের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে ৫৩০ জনই মিয়ানমারের নাগরিক। এছাড়া ৮৫ জন বাংলাদেশের, সাতজন ইন্দোনেশিয়ার, পাঁচজন ভারতের ও একজন নেপালের নাগরিক। বিস্তারিত তদন্ত এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তার অভিবাসীদেরকে দেশটির সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার এ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বৈধ নথিপত্র না থাকা, ভিসার মেয়াদ শেষের পর অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান, ভিসার শর্ত মানতে ব্যর্থ হওয়া, ভুয়া পরিচয়পত্রের ব্যবহার এবং অভিবাসন আইনের অন্যান্য শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বারনামার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল সাতটার দিকে শেষ হওয়া এই অভিযানে মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ, জেনারেল অপারেশন ফোর্স (জিওএফ), এমবিডিকে এবং জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের (জেপিএন) মোট ১৫৩ কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।
অভিবাসন বিভাগের উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস) জাফ্রি বলেছেন, গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য কিছু অভিবাসী ‘গেরিলা কৌশল’ ব্যবহার করেছিলেন।
বিএ..