শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি: আমার কোন উপস্বর্গ নেই তারপরেও আমি করোনা আক্রান্ত হয়েছি। আমি নিজেকে সুস্থ্য অবস্থায় কোন কারন ছাড়াই পরীক্ষা করাই। রিপোর্ট আসছে পজেটিভ। অথচ রিপোর্ট আসার আগে আমি নিজেকে সুস্থ মনে করে পবিারের প্রয়োজনে বাজার করেছি। মার্কেট খোলা থাকায় মেয়ের জন্য মার্কেট করেছি। এখন বুঝতে পারছি এসব আমার ঠিক হয়নি। যে কারনে আমার বাসার সকলের করোনা পরীক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ঠদের সহযোগিতা কামনা করছি। এভাবেই মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের কাছে আকুতি জানিয়েছেন শেরপুর হাসপাতাল রোডের বাসিন্ধা আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শেরপুর উপজেলা শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শেখ ফরিদ বাবু।
১৯ মে মঙ্গলবার রাতে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের ফরিদ বাবুর শরীরে করোনা পজেটিভ বিষয়টি নিশ্চিত করেন
বগুড়া শেরপুরে জনসাধারন সরকারী নিয়ম নীতি বা স্বাস্থ্য বিধি না মেনে উল্টো বেপরোয়া চলাফেরা করে ঈদ মার্কেট করায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের এমন চলাফেরা দেখে সচেতন মানুষ অনেকটাই অচেতন হওযার পথে। করোনা সময়ে লক ডাউন কিছুটা শিথিল থাকায় গত এক সপ্তাহে উপজেলার প্রানকেন্দ্র মার্কেট ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এ নিয়ে ফেসবুকে নানা ধরনের মন্তব্য ও ভডিও চিত্র প্রকাশ হয়েছে। তার পরেও ফিরে আসে নাই মার্কেটের নিয়ম শৃঙ্খলা। স্থানীয় প্রশাসন দ্রæত শেরপুরের মার্কেট গুলো বন্ধ করে উপজেলায় বহিরাগতদের প্রবেশ কঠোর ভাবে বন্ধ করা হোক। এমনটাই দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। অন্যথায় করোনার কান্না ভয়াবহ রুপ নিতে পারে।
উল্লেখ্য যে, শেরপুর উপজেলার ৩২০ টি গ্রামের প্রায় ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। সেই সাথে ধুনট ,সারিয়াকান্দি, নন্দীগ্রাম, শাহজাহানপুর, তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলার বাসিন্দারা এ মার্কেট গুলো থেকেই কেনা কাটা করে থাকে। তাদের বিরাট একটা অংশই রয়েছে গার্মেন্টস কর্মী। এ ছাড়াও ঢাকা থেকে নানা ভাবে এ উপজেলাতে মানুষের আগমন দিন দিন বেড়ে যায়।
খবর২৪ঘন্টা/নই