নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার যোগিন্দ্র নগর গ্রামে নারী হত্যা মামলার স্বাক্ষী জালাল উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত যোগিন্দ্র নগর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, , ২০১৩ সালের ১৩ মে যোগিন্দ্র নগর গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্ত নারী সফুরা খাতুনকে ধর্ষনের পর হত্যা করে আত্রাই নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে একই এলাকার সাইফুল ইসলাম,শরিফুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম সহ আরো অজ্ঞাত ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা করেন।
মামলার প্রধান সাক্ষি ছিলেন জালাল উদ্দিন। আদালতে সাক্ষ্যি দিতে আজ বৃহস্পতিবার ৮ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন জালাল উদ্দিন। পথে যোগিন্দ্র নগর বাজারের বাজারের কাছে প্রতিপক্ষরা জালাল উদ্দিনের ডান হাত কেটে নেয় এবং বাম হাত সহ পা কেটে জখম করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে পুলিশ কেটে নিয়ে যাওয়া হাত উদ্ধার করতে পারেনি।
নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে জালাল মারা যান।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক ভাবে এই হামলারা জন্য সাইফুল ইসলাম,শরিফুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলামকে সন্দেহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি হামলাকারীদের আটকের চেস্টা চলছে বলে জানান তিনি।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন