নওগাঁর মান্দায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী জহুরা বেগমকে (২০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মাসুদ রানার বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের কালিকাপুর জংলীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এলাকার আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে জহুরা বেগমের সঙ্গে দুই মাস আগে মান্দা উপজেলার কালিকাপুর জংলীপাড়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে মাসুদ রানার বিয়ে হয়। মাসুদ রানার এটি চতুর্থ বিয়ে।
স্থানীয়রা আরও জানান, আগের স্ত্রীদের ওপর যৌতুকসহ বিভিন্ন দাবিতে নির্যাতন করায় স্বামী মাসুদ রানাকে ছেড়ে তারা বাবার বাড়ি চলে যান। পরে নাচোল এলাকায় আবারো বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে জহুরা বেগমের ওপর শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন শুরু করা হয়। শাশুড়ি শাহিদা বেগম ও স্বামী পরিত্যক্তা ননদ রিনা খাতুনের প্ররোচনায় এসব নির্যাতন করে আসছিল স্বামী মাসুদ রানা।
প্রতিবেশি সিরাজুল ইসলাম, আবুল কাসেমসহ আরো অনেকে জানান, বুধবার গভীর
রাতে জহুরা বেগমকে একদফা মারপিট করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে আবারো মারপিট করলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে জহুরা বেগম। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধূ জহুরা বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটকসহ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এস/আর