1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
মানুষের দুঃসময়ে মাঠে নেই রাজশাহী বিএনপির শীর্ষ নেতারা - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন

মানুষের দুঃসময়ে মাঠে নেই রাজশাহী বিএনপির শীর্ষ নেতারা

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করার পর এখন বাংলাদেশে প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর চেষ্টা করছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশেও মারা গেছে ৪৬ জন মানুষ ও আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০০০ জন। বাদ যায়নি শিক্ষানগরী খ্যাত বিভাগীয় শহর রাজশাহী ও জেলার উপজেলা গুলো। ইতিমধ্যেই ঢাকা নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরা দুজন করো না পজেটিভ হয়েছেন। এরপর নড়েচড়ে বসেছেন রাজশাহীর সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। সোমবার সকাল ১০ টা থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এর আগে করোনা মোকাবেলায় সরকার সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীর সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেই। বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে বাস, ট্রেন চলাচল ও গণপরিবহন।

আর এর প্রভাব পড়েছে রাজশাহীর সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের উপর। কারণ যারা দিনমজুর ও দিন আনে দিন খায় ধরনের শ্রমিক ছিলেন তারা ২০ থেকে ২৫ দিন যাবত কাজ না পেয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ ধরনের মানুষের খাদ্য অভাব কিছুটা লাঘব করতে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। কিন্তু সেটিও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ কারণে সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংস্থা ও ব্যক্তি উচ্চবিত্তবান মানুষ। আবার অনেকে সম্পদশালী না হলেও বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করে গরীব-দুঃখীদের জন্য খাবার কিনে বিতরণ করছেন।রাজশাহীতে যখন এমন চিত্র তখন মাঠে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি রাজশাহী বিএনপির শীর্ষ নেতাদের।

নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী নিজেদের অর্থায়নে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন অপেক্ষাকৃত অঙ্গসংগঠনের জুনিয়ার নেতারা। তারা কখনো সরকারি কোন পদে না থাকার পরেও এই দুঃসময়ে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে মানুষের মধ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানুষ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে ছবি তুলছে আর সেই ছবি মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্থানে। যে কারণে কারা এ সময় মানুষের পাশে রয়েছেন আর কারা আড়ালে চলে গেছেন তা মানুষ মুহূর্তের মধ্যেই জানতে পারছেন।

এই অসময়ে রাজশাহী মহানগর যুবদল, ছাত্রদল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, জেলা ছাত্রদল ও বিভিন্ন উপজেলা অঙ্গসংগঠনের কমিটি গুলো চেষ্টা করছেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। দিনরাত নিজেরাই অর্থ সংগ্রহ করে মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীদেরও আন্তরিকতার অভাব নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে যারা ভোটের সময় নির্বাচনী টিকিট নেওয়ার জন্য মাঠে থাকেন তাদের এখন দেখা যাচ্ছে না। অনেকেই মন্তব্য করেছেন তারা নাকি এই দুঃসময়ে আড়ালে চলে গেছেন। এসব শীর্ষ নেতাদের মধ্যে রয়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও এমপি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি’র প্রভাবশালী নেতা সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু ও সাবেক সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু। ওপরে উল্লেখিত নেতাদের কাউকে খাদ্য সামগ্রী অসহায়দের মাঝে বিতরণ করতে দেখা যায়নি।

এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে না থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। কারণ এসব নেতারা ভোটের সময় মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইতে যান কিন্তু এখন মানুষের বিপদে পাশে থাকছেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এসব নেতাদের সমালোচনা থাকতে দেখা গেছে। তবে মূল সংগঠনের সিনিয়র নেতারা মাঠে না থাকলেও এই দুঃসময়ে পাশে রয়েছেন অঙ্গসংগঠনের অপেক্ষাকৃত তাদের জুনিয়ার নেতারা। যারা করোনা পরিস্থিতি আসার পরে দল মত না দেখে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে সাধ্যানুযায়ী বিতরণ করছেন। খাদ্য সামগ্রী বিশেষ করে যুবদল, ছাত্রদল কে মাঠে দেখা গেছে।

ইতিমধ্যেই ছাত্রদল-যুবদলের নিজের অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার কারণে সাধুবাদ ও পেয়েছেন। কিন্তু মূল ধারার নেতারা না থাকায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন অনেক জুনিয়র নেতাকর্মী। কারণ তারা দুঃসময়ে নেতাদের পাশে চেয়ে ছিলেন। ধারণা ছিল দলের যারা খুবই অসহায় এবং দুস্থ আছে অন্তত তাদের পাশে দাঁড়াবে এসব নেতা। কিন্তু তাদের আশা যেন আশায় থেকে যাচ্ছে। এসব নেতারা আসছেন না প্রকাশ্যে।

দুর্যোগ মোকাবেলায় তরুণ নেতারা ব্যক্তিগত ভাবে টাকা টাকা তুলে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ত্রাণ করছে বর্তমান সময়ে। যেসব নেতারা এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান রিটন, রাজশাহী বিভাগীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার আমিন বিপুল ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি। এছাড়াও ত্রাণ বিতরণ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।

পাশাপাশি নগরের বিভিন্ন থানা ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে সিটি কলেজ ছাত্রদল , রাজপাড়া,কাশিয়াডাঙ্গা,মতিহার,চন্দ্রিমা,শাহমখদুম থানা। বোয়ালিয়া(পূর্ব) ও পশ্চিম থানা পৃথক ভাবে,মতিহার থানা,রাজপাড়া থানা,চন্দ্রিমা থানা মহানগরের বাইরে জেলার নয়টি উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে ও অসহায়দের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, এই দুঃসময়ে আমরা থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের অর্থায়নে বিভিন্ন স্থানে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। আমরা সব সময় অসহায়দের পাশে রয়েছি সুখের সময় নয় তাদের দুঃসময়ে পাশে থাকবো।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এমপি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন বলেন, আমরা সরাসরি মাঠে নেই এটা ঠিক না। আমাদের অঙ্গসংগঠনের যুবদল ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শুরু থেকেই মাঠে গরিব-দুঃখীদের মধ্যে দল-মত-নির্বিশেষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। যারা অভাবগ্রস্ত তাদের খাদ্য দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোন দল দেখা হচ্ছে না। মহানগর বিএনপি’র দিক নির্দেশনা যুবদল-ছাত্রদল কাজ করছে। আমরা মাঠে নেই তার মানে অসহায়দের জন্য কাজ করছি না এরকম না।

মহানগর বিএনপি’র পক্ষ থেকে একটি কমিটি করা আছে যে কমিটি সরাসরি দেখভাল করছেন বিএনপি মহাসচিব নিজেই।।শুধু খাদ্য নয় কেউ যদি অসুস্থ হয় তাহলে তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কারো যদি পি পি প্রয়োজন হয় সেটিও দেওয়া হবে।। সব প্রস্তুত রয়েছে। বিএনপি মাঠে ছিল আছে থাকবে। তারা যে কাজ করছে সব আমাদের নির্দেশনায়। তিনি আরো বলেন এখন যে এই দুঃসময়ে চাল চুরির ঘটনা ঘটছে এটি খুব দুঃখজনক। করোনা এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকল কাজ করতে হবে। সার্বিক দিক নির্দেশনা দেয়া রয়েছে যুবদল ছাত্রদল সহ আমাদের কমিটির মাধ্যমে।

আর বিএনপি’র সাবেক জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু ও ফোন রিসিভ করেননি। বাকিদের মধ্যে অনেক নেতার নম্বরে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।

এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team