খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আগামী নভেম্বরের মধ্যে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে সাত হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে।
রোববার (২৬ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের চিকিৎসাসেবায় সংকট দূরীকরণে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বরের মধ্যে উত্তীর্ণ সকলকে দেশের বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে নিয়োগ দেয়া হবে। সেখানে তিন বছর তাদের বাধ্যতামূলক চিকিৎসাসেবা দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, দেশে চারটি মেডিকেল কলেজ চালুর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকেই আড়াইশ শিক্ষার্থী নতুন অনুমোদিত এ চার মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
মোহাম্মদ নাসিম জানান, নওগাঁ, নেত্রকোণা, মাগুরা ও নীলফামারীতে এই চার মেডিকেল কলেজ হবে। এছাড়া চাঁদপুরে মেডিকেল কলেজ করার আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
চানখারপুলে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অক্টোবরে এটির উদ্বোধন করা হবে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম বার্ন ইনস্টিটিউট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।
স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা অনেক উন্নত হয়েছে। এখন বিদেশ থেকেও চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশে আসে। ক্যান্সারের অনেক রোগী বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা নেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, রাজধানীবাসীর জন্য ঢাকার শাহবাগে ৫০০ শয্যার নতুন একটি হাসপাতাল তৈরি করা হবে। আগামী ১৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেডিকেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। কোরিয়া সরকারের আর্থিক সহায়তায় এ হাসপাতালটি তৈরি করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশে চিকিৎসাসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে সারা দেশে প্রতি জেলায় একটি করে সরকারি মেডিকেল কলেজ তৈরি করা হবে। সে লক্ষ্যেই আমরা নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ তৈরি করেছি। পাশাপাশি নানা বিতর্ক থাকলেও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে উন্নত সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপন, স্বাস্থ্যসচিব সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত বিভিন্ন দফতর-সংস্থার প্রধান প্রমুখ।
/জেএন