ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ে নলকূপ বসানোর জন্য খননের পর সেখান থেকে তীব্র গতিতে গ্যাস বের হচ্ছে। গতকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া গ্যাসের এই উদগিরণ এখন পর্যন্তও থামেনি। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করতে নতুন নলকূপ বসানোর উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকাল থেকে হঠাৎ করে বিকট শব্দে ওই নলকূপ বসানোর জন্য খনন করা গভীর গর্ত দিয়ে পানির সঙ্গে বালু ও গ্যাস বের হতে থাকে। পানির সঙ্গে অনবরত বালু ও গ্যাস বের হওয়ার কারণে বিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ঘটনাস্থলে কসবা থানা পুলিশ ও স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে বাপেক্স’র একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানিয়েছেন।
সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল মামুন ভূঁইয়া জানান, বিদ্যালয়ের পুরাতন নলকূপটি কাজ না করায় সরকারিভাবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে নতুন একটি নলকূপ বসানোর জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা। প্রায় সাড়ে পাঁচশ ফুট খননের পর পানির লেয়ার পাওয়া যায়। এরপর বুধবার সকালে পানির ফিল্টার পাইপ স্থাপনের জন্য পাইপ ওপরের দিকে তুলতে গেলে হঠাৎ করে বিকট শব্দে গ্যাস উদগিরণ হতে থাকে। গ্যাসের সঙ্গে নিচের বালু উঠে আসার কারণে বিদ্যালয় ভবন হুমকির মুখে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বিষয়টি পেট্রোবাংলাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা হয়েছে। বিদ্যালয় ভবনের সকল আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
খবর২৪ঘন্টা/নই