নওগাঁর মহাদেবপুরে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত, সারাদেশের আলোচিত ও জনপ্রিয় সাবেক প্রথম মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শ্রী বিশ্বেশ্বর দাস দাগুর পরিবারের সদস্যদের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় সাবেক এই চেয়ারম্যানের বিধবা স্ত্রী আরতি রাণী দাস (৬০), মেয়ে অনুপ্রিয়া দাস (৪২) ও স্ত্রীর ভাই শ্রী বৈদ্যনাথ সরকার (৭৫) মারাত্মক আহত হয়েছেন। বৈদ্যনাথ সরকারের মাথায় ৭টি সেলাই দিতে হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে এব্যাপারে আরতি রাণী বাদি হয়ে মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গরীবের বন্ধু বলে পরিচিত, জীবদ্দশায় অত্যন্ত সাদামাটা সাধারণ পরিবেশে বসবাসকারি সাবেক এই চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিশ্বেশ্বর দাস দাগুর মত তার পরিবার এখনও সামান্য জায়গা জমির উপর ছোট্ট বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। বাড়ি সংলগ্ন সামান্য জমি জবর দখল করতে এবার প্রতিপক্ষরা তাদের উপর হামলা চালালো।
বিশ্বেশ্বর দাসের বিধবা স্ত্রী জানান, মহাদেবপুর দুলালপাড়া গ্রামের মৃত শ্যাম চরণ মন্ডলের ছেলে শ্রী সঞ্জয় মন্ডল (৩৫), মৃত গুরু চরণ মন্ডলের ছেলে শ্রী বিদ্যুৎ মন্ডল বিপু (৪৫), শ্রী সুদর্শন মন্ডল (৪০), শ্রী গোলাক মন্ডল (৫২), পরেশ মন্ডলের ছেলে শ্রী পলাশ মন্ডল (৪২), ফাজিলপুর বিনফরসা গ্রামের মৃত খগেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে শ্রী অমিও মন্ডল (৫৩) ও শ্রী সুনিল মন্ডল (৬২) সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় হাতে ধারালো হাসুয়া, বাঁশের লাঠি-সোটা নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় প্রয়াত বিশ্বেশ্বর দাসের পরিবারের বসতবাড়ীর পিছনে তাদের জমিতে লাগানো ছোট বড় মেহগনি ও আম গাছ কাটতে থাকে।
এসময় বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা বিশ্বেশ্বর দাস দাগুর পরিবারের সদস্যদের উপর চড়াও হয়। তাদের হাসুয়ার আঘাতে বৈদ্যনাথ রক্তাক্ত জখম হন এবং সন্ত্রাসীরা অনুপ্রিয়া দাসের শ্লীলতাহানি ঘটায়। ঘটনাটি এলাকায় দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী তাদের উপর হামলাকারি সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন জানান, দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা করা হবে।
বিএ/