নওগাঁর মহাদেবপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে সোহেল রানা (৩৫) নামের এক এনজিও পরিচালক বিষাক্ত গ্যাসবড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এঘটনা ঘটেছে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলা সদরের লিচু বাগান এলাকায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার ডিমজাওন গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে সোহেল রানা উপজেলা সমবায় অফিস থেকে ‘সাতরং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামে নিবন্ধনকৃত সমিতির জন্য লিচু বাগান এলাকায় অফিস ভাড়া নিয়ে ঋণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। তিনি মহাদেবপুর ছাড়াও বাগডোব বাজারে, পোরশা উপজেলার সরাইগাছী মোড়ে, সাপাহার উপজেলা সদরে, ধামইরহাটের আমাইতাড়া মোড়ে ও নওগাঁ সদরে ভিন্ন ভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠান খুলে ঋণ কার্যক্রম চালিয়ে
আসছিলেন। ঋণ কার্যক্রম চালাতে গিয়ে তিনি এফডিআর নামে আমানত স্বরুপ বিভিন্ন লোকজনের নিকট থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা আমানত গ্রহণ করেন। এসব
আমানতের বিপরীতে প্রতিমাসে ১ লাখে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা মুনাফা দিয়ে থাকেন। উক্ত আমানতের টাকায় ৩০ থেকে ৪০ বিঘা মাঠের জমি কিনেন এবং গ্রামের একটি দৃষ্টিনন্দন বাড়ি নির্মাণে প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ করেন। এসব বিষয় নিয়ে তার শ্বশুর আমিনুল ইসলামের সাথে প্রায় দ্বন্দ্ব লেগে থাকতো। এরই এক
পর্যায়ে প্রায় ৩ মাস তার শ্বশুর সোহেল রানাকে সরিয়ে দিয়ে এনজিওর কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি মিমাংসা হলে সপ্তাহ খানেক আগে আবারও সোহেল রানা এনজিওর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় শ্বশুর আমিনুল ইসলাম, ভাই সাজ্জাদুল ইসলাম সাজুর সাথে বিষয়গুলো নিয়ে কথাকাটির এক পর্যায়ে সোহেল রানা বিষাক্ত গ্যাসবড়ি খেয়ে আতœহত্যার
চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ময়না তদন্ত শেষে রোববার সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা
হয়।
এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মোজাফফর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।