নওগাঁর মহাদেবপুরে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকুরী নেয়া পাহাড়পুর জিতেন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক বিপ্লব কুমার মন্ডলকে সাময়িক বরখাস্ত করেই দায় সেরেছেন প্রধান শিক্ষক।
তার বিরুদ্ধে মামলা না করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও তাকে ১ মাসের বেতন দেয়া হয়েছে। গত ২৭ জুলাই এনটিআরসিএ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, পাহাড়পুর জিতেন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিপ্লব কুমার মন্ডল জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকুরী নিয়েছেন। এবং তদন্তে তা প্রমাণিত হয়েছে।
সেই প্রতিবেদনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে মামলার অনুলিপি এনটিআরসিএ এর দপ্তরে প্রেরণ করার নির্দেশও দেওয়া হয়। এবং সেই প্রতিবেদনটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করেন। কিন্তু এনটিআরসিএ থেকে পাঠানো সেই চিঠির নির্দেশনা না মেনে ওই শিক্ষককে জুলাই মাসের বেতন দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক মায়া রাণী সাহার বিরুদ্ধে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট পৌঁছানোর প্রায় তিন মাস পার হয়ে গেলেও সেই জাল নিবন্ধন সনদধারীর শিক্ষক বিপ্লব কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেননি প্রধান শিক্ষক মায়া রাণী সাহা।
উল্লেখ্য যে, বিপ্লব কুমার মন্ডলকে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে ২০১১ সালে নিয়োগ দেওয়ার ১ বছর পর ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করা সনদটি যাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএ তে পাঠিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন এবং এখনো ওই জাল নিবন্ধন সনদে নিয়োগ দেওয়া শিক্ষককে বাঁচানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক মায়া রানী সাহা।
জাল সনদে ২০১১ সালে নিয়োগ নেওয়ার পর ২০২২ সাল পর্যন্ত ১১ বছরে বিপ্লব কুমার মন্ডল প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
বিএ/