নওগাঁর মহাদেবপুরে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আন্ত:জেলা বৈদ্যুতিক মিটার চোর চক্রের ১ সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে।
তার দেয়া তথ্য মতে মাটির নীচে পুতে রাখা দুটি চুরি করা মিটারও উদ্ধার করা হয়েছে। আটক যুবক নওগাঁ সদর উপজলার চাকলা গ্রামের মৃত খয়রুল ইসলামর ছেলে নুর ইসলাম (২৭)।
থানা পুলিশের একটি চৌকশ দল মঙ্গলবার (২৭ ডিসম্বর) দিবাগত রাতে তাকে আটক করে।
বুধবার দুপুরে মহাদবপুর থানায় আয়াজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, গত ২৩ ডিসম্বর রাত উপজলার খাজুর ইউনিয়নের গুপিনাথপুর মোড়ে
নজামুল ইসলামের চালকল থেকে একটি ও চাঁদাশ ইউনিয়নের হরিপুরের আব্দুল কুদ্দুসের চালকল থেকে একটি এবং ২৫ ডিসেম্বর রাতে উপজেলা সদরের ঘোষপাড়ার মোড়ে নারায়ন চন্দ্রের লেদ মেশিনের দোকান থেকে একটি ও খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন বাজারের বিপুল চন্দ্রের লেদ মেশিনের দোকান থেকে একটিসহ মোট চারটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়।
চোরেরা একটি কাগজ মোবাইলফান নাম্বার লিখে মিটারের বাক্স রেখে যায়। নাজমুল ইসলাম এ ব্যাপারে ২৭ ডিসেম্বর মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ তদন্তে নামে। নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হকের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) গাজিউর রহমান পিপিএম এর সার্বিক সহযোগিতায় মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য অফিসার ও ফোর্স সহ একটি চৌকশ দল গঠন করে রাতেই নওগাঁ সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মূল আসামীকে আটক করা হয়।
তার কাছ থেকে কাগজে লেখা নম্বরের মোবাইলফানও উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে এসব মিটার চুরির কথা স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্য মতে মাটির নীচে পুতে রাখা অবস্থায় দুটি চোরাই মিটার উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ একটি আন্ত:জেলা মিটার চোর চক্রের সন্ধান পায়। এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের আটকের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।
ভূক্তভাগীরা জানান, চোরদের রেখে যাওয়া মোবাইলফোন নম্বরে কথা বললে তাদের কাছে মিটার ফেরৎ দেয়ার জন্য চাঁদা দাবি করা হয়। চোরেরা এদের একজনের কাছ থেকে বিকাশে তিন হাজার তিনশ টাকা ও আরেক জনের কাছ থেকে পাঁচ হাজার দুশশত টাকা হাতিয়ে নেয়।বিএ/