নওগাঁর মহাদেবপুরে আত্রাই নদীর রামচন্দ্রপুর এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
এতে হুমকীর মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকশ একর কৃষি জমি। এ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. ইয়ারব আলী বাদী হয়ে ওই গ্রামের শতাধিক ব্যক্তির স্বাক্ষর সম্বলিত একটি অভিযোগপত্রও দিয়েছেন জেলা প্রশাসক বরাবর।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলার বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মো. আশিক চৌধুরী শাহিন, মহাদেবপুর উপজেলার পাঠকাটি শিবপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. মামুন হোসেন দীর্ঘদিন থেকে রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন আত্রাই নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। অবৈধভাবে অতিরিক্ত গভীর করে নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় ওই গ্রামের শতাধিক কৃষকের নদীর তীরবর্তী ফসলের জমিগুলো নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও ওই স্কুলটিসহ নদীর বাঁধ রক্ষায় কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার সিসি ব্লক দিয়ে বঁাধের ধার বাঁধায় করেন। অবৈধ এ বালু উত্তোলনের ফলে সিসি ব্লক দিয়ে বাঁধায় করা বাঁধটিও নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার আশংকা রয়েছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী মামুন হোসেনকে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বললে মামুন তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ নানা ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন।
আশিক চৌধুরী শাহিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল ও ক্ষুদেবার্তা পাঠানোর পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুসরাত জাহান বলেন, বিভিন্ন সময়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের জরিমানা করা হয়। সরোজমিনে গিয়ে তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও তিনি জানান।
ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কৃষকের ফসলি জমি রক্ষায় যথাযথ কতৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন।
বিএ/