রাবি প্রতিনিধি:‘মহাকবি মধুসূদন পদক-২০২০’ পেয়েছেন বিশিষ্ট কবি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অনীক মাহমুদ। যশোরের সাগড়দাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলার চতুর্থ দিনে বাংলা কাব্যে অসামান্য অবদানের জন্য সৃষ্টিশীল কবিতা ও নাটক সাহিত্য ক্যাটাগরিতে তিনি এ পদক লাভ করেন।
মধুসূদন ফাউন্ডেশন জেলা প্রশাসন যশোর কর্তৃক শনিবার রাতে সাগরদাঁড়ী মধুসূদন মেলামঞ্চে তাঁর হাতে পদক তুলে দেন খুলনা বিভাগের কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ।
পুরস্কার গ্রহণের পর কবি অনীক মাহমুদ তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, মধুসূদন বলেছেন ‘ রেখ মা দাসেরে মনে… রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভূবনে/মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই। বিদ্রোহী কবি নজরুলও বলেছেন, মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই নহে কিছু মহীয়ান। আমিও মনে করি মানবকল্যাণই হতে পারে একজন মহৎ কবির অন্বিষ্ট পথ। আমার কাব্যও মানুষের কল্যাণেই নিবেদিত হবে এ আশীর্বাদ আপনারা করবেন। মহাকবি মধুসূদনের নামে আপনারা যে পদক দিয়ে আমাকে সম্মানিত করলেন তা আমি শ্রদ্ধাভরে হৃদয়ে ধারণ করলাম।
এ পর্যন্ত কবি অনীক মাহমুদের ২৪টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ‘কালজ করতাল’ (২০১৯) কাব্যগ্রন্থের জন্য তাঁকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। কাব্য ছাড়াও প্রবন্ধ, ছোটগল্প, উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনি, স্মৃতিকথা, জীবনী, শিশুসাহিত্য প্রভৃতি মিলিয়ে তাঁর গ্রন্থ সংখ্যা একশ’র কাছাকাছি। ইতোমধ্যে তাঁর তের খণ্ড রচনাসংগ্রহ প্রকাশিত হয়েছে ঢাকাস্থ সুচয়নী পাবলিশার্স থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মজীবনে অনীক মাহমুদ বিভাগীয় সভাপতি, অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ, বাংলা গবেষণা সংসদের সভাপতি প্রভৃতি পদে কাজ করেছেন। এই পুরস্কারের পূর্বে তিনি স্পন্দন সংসদ পুরস্কার (১৯৮১), বাংলাদেশ পাবলিক লাইব্রেরি বিভাগীয় পুরস্কার (১৯৮৫), ড. আসাদুজ্জামান সাহিত্য পুরস্কার (২০১১), কবিকুঞ্চ পদক (২০১৫), কবি সভা রংপুর সম্মাননা (২০১৮) অর্জন করেন।
এস/আর