1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল ১২ বস্তা টাকা - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন

মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল ১২ বস্তা টাকা

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার পাওয়া গেছে ১২ বস্তা টাকা। টাকা ছাড়াও দান হিসেবে অনেক স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। শনিবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে মসজিদের আটটি দানবাক্স খুলে এসব টাকা পাওয়া যায়। এখন টাকা গণনা চলছে। মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছন।

এবার প্রায় ছয় মাস সাতদিন পর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হলো। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এগুলো খোলা হয়েছিল। তখন এক কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণত ৩ মাস পরপর দানবাক্স খোলা হয়। তবে এবার করোনা মহামারির কারণে দেরিতে এগুলো খোলা হয়।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। পরে দানবাক্সের টাকাগুলো বস্তায় ভরা হয়। ছোটবড় ১২টি টাকাভর্তি বস্তা নেয়া হয় মসজিদের দ্বিতীয় তলায়।

এরপর মসজিদের মেঝেতে রেখে শুরু হয় গণনার কাজ। স্থানীয় একটি ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা ও মসজিদ-মাদরাসার শতাধিক শিক্ষার্থী গগনা কাজে সহযোগিতা করছেন। বিকেল ৫টা নাগাদ গণনা শেষে জানা যাবে এবার কত টাকা পাওয়া গেল। টাকার পাশাপাশি দানবাক্সে পাওয়া গেছে স্বর্ণালঙ্কার এবং বৈদেশিক মুদ্রা।

টাকা গণনার কাজ তদারকি করছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, পাগলা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি, মাহমুদুল হাসান, উবাইদুর রহমান সাহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা ও রূপালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখার কর্মকর্তারা।

কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের অবস্থান। এখানে ইবাদত বন্দেগি করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায় বলে মানুষের বিশ্বাস। রোগ-শোক বা বিপদে মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। এসব বিশ্বাস থেকে এখানে প্রতিনিয়ত দান করে মানুষ। তিন মাস পর পর খোলা হয় মসজিদের দানবাক্স। প্রতিবারই টাকার পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় কোটি টাকা। নানা শ্রেণিপেশা আর ধর্মের লোকজন এখানে আসেন মানত পূরণ করতে।

দানবাক্স ছাড়াও প্রতিদিন নানা শ্রেণিপেশা আর ধর্মের মানুষ মানত পূরণ করতে ছুটে আসেন পাগলা মসজিদে। নগদ টাকা ছাড়াও তারা নিয়ে আসেন চাল-ডাল-গবাদি পশুসহ বিভিন্ন সামগ্রী। দিন শেষে এসব পণ্য নিলামে বিক্রি করে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা হয়।

দানকৃত টাকায় পাগলা মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে অবশিষ্ট টাকা জমা রাখা হয় ব্যাংকে। দানের টাকা থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেয়া হয়।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team