ওমর ফারুক :
মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগরবাসী। মশার উপদ্রবে নগরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়লেও নিধনে সক্রিয় কোন কার্যক্রম নেই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের। এ নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে রাজশাহী সিটি কর্পোরশনের মশক নিধন শাখা দাবি করছে, মশার বংশ বিস্তার রোধে লাভা ধ্বংসে কাজ করা হচ্ছে। যাতে মশা না বাড়তে পারে এবং পরিবেশ ঠিক থাকে। সেই কারণে সরাসরি ফগার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে না। রাসিকের এমন যুক্তি মানতে নারাজ নগরবাসী। নগরবাসী অভিযোগ করে বলছেন, কর্পোরেশন সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই ফগার মেশিনের মাধ্যমেই মশা নিধন করা হতো। কিন্ত এখন তা করা হচ্ছে না। যাতে করে মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। মশার উপদ্রবের কারণে নগরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারীর মাসের মাঝামাঝি থেকেই নগরজুড়ে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। মশার উপদ্রব বাড়লেও রাসিকের পক্ষ থেকে মশা নিধনে সক্রিয় কার্যক্রম দেখা যায়নি। যার কারণে দিনের পর দিন মশার উপদ্রব আরো বেড়ে চলেছে। মশার হাত থেকে বাঁচতে নগরীর বাসিন্দারা কয়েল জ¦ালিয়ে মশা তাড়াতে চেষ্টা করছেন। আবার অনেকে সন্ধ্যায় মশরির মধ্যে ঢুকে যাচ্ছেন। মশার বাড়তি উপদ্রব নিয়ে নগরবাসীর অভিযোগের শেষ নেই। নগরীর হড়গ্রাম পূর্বপাড়া এলাকার নাজমা নামের এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, এবার গরম পড়ার আগে থেকেই মশার উপদ্রব বেড়েছে। কিন্ত তা নিধনে রাসিক কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা বলছে ড্রেনে কেরোসিন দিয়ে লাভা ধ্বংস করা হচ্ছে। কিন্ত এর আগেও রাসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযামুল আযিম মশা ফগার মেশিন দিয়ে না মেরে লাভা ধ্বংস করে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্ত তখনো মশার অত্যার কমেনি আর এখনো কমছে না। তাই তিনি দ্রুত মশা মারার দাবি জানান।
সিটি বাইপাস এলাকার আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান মেয়র মশা মারছেন না। তিনি লাভা ধ্বংস করার নাম করে দিন কাটাচ্ছেন। কেন তিনি ফগার মেশিন দিয়ে মশা মারছেন না তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।
শুধু ওই দুই ব্যক্তি নয় নগরীর অনেক বাসিন্দা মশার উপদ্রব নিয়ে রাসিকের খামখেয়ালিপনাকে দায়ি করছেন। কারণ লাভা ধ্বংস করে মশা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না বলে দাবি করছেন।
মশা নিয়ন্ত্রণে রাসিকের পক্ষ থেকে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে রাসিকের মশক নিধন শাখার পরিদর্শক সানাউল্লাহ বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে রাসিকের ৩০টি ওয়ার্ডে লাভা ধ্বংসের কাজ চলছে। যাতে মশা বংশ বিস্তার না করতে পারে। ড্রেনে কেরোসিন দিয়ে লাভা ধ্বংস করা হচ্ছে। ফগার মেশিন দিয়ে কেন মশা মারা হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফগার মেশিন দিয়ে মশা মারা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া এখন আমের মুকুলেরও ক্ষতি করবে। সব দিক বিবেচনা করেই ফগার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে না। তবে মে মাসের দিকে ফগার মেশিন ব্যবহার করা হবে বলে তিনি আরো জানান।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে