1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
মধ্যরাতে লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল পাস - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১৮ জানয়ারী ২০২৫, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন

মধ্যরাতে লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল পাস

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের লোকসভায় সোমবার মধ্যরাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (ক্যাব) পাস হয়েছে। সাত ঘণ্টা বিতর্কের শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ওই বিল পাস হওয়ার ফলে প্রতিবেশী তিন দেশের অমুসলিম সংখ্যালঘু শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।

এর আগে গতকাল বিল পেশ হওয়া মাত্রই বিরোধীরা ছেঁকে ধরেন অমিত শাহকে। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের প্রস্তাব সংসদে নিয়ে আসার সময়ও বিরোধীদের এতোটা তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হয়নি ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৩১১-৮০ ভোটে বিলটি পাস করাতে সক্ষম হয় বিজেপি। এদিন গেরুয়া রঙের ‘মোদি কোট’ পরে লোকসভায় হাজির হন অমিত। কিন্তু সংসদে বিল পেশ হতেই সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী, শশী থারুর, গৌরব গগৈ, তৃণমূলের সৌগত রায়, কল্যাণ ব্যানার্জি, মহুয়া মৈত্র, এমআইএম-এর আসাদুদ্দিন ওয়াইসি, মুসলিম লিগের পি কে

কুনহালিকুট্টিরা ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো আক্রমণ শুরু করেন। কম করে ১২ বার উঠে দাঁড়িয়ে তার জবাব দিতে চান অমিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এতো বার উঠতে দেখে শেষ পর্যন্ত অধীর চৌধুরী বলেই ফেলেন যে, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েও আপনি যদি আমাদের রক্ষা করতে না পারেন, তা হলে কে করবে? বার বার উঠে শাহ এটাই বলতে চেষ্টা করছিলেন যে, ধর্মের বিভাজন করে এই বিল আনা হয়নি। এই বিল দেশের ০.০০১ শতাংশ সংখ্যালঘুরও বিরুদ্ধে নয়। বিরোধীরা বিলের কথা বিকৃত করছে।

বিলে কোথাও মুসলিমদের নামটুকুও করা হয়নি। উল্টো তিন প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘুদের ওপরে নির্যাতনের ঘটনা সামনে তুলে আনেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসকে আক্রমণের ছলেই অমিত স্বীকার করে নেন, ধর্মের ভিত্তিতে দেশ বিভাজন হয়েছে। এ কারণে এখন ধর্মের ভিত্তিতে সেই বিভাজনের রাজনীতি করতে হচ্ছে তাদের। পুরো বিলের পেছনে মোহাম্মদ আলি জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্ব মেনে নিয়ে কংগ্রেসের দেশভাগে রাজি হওয়াকেই দায়ী করেছেন তিনি। অমিত বলেন, ১৯৫০ সালের নেহরু-লিয়াকত চুক্তি যদি সফলভাবে বাস্তবায়িত হতো, তা হলে ওই বিল আনার প্রয়োজন হত না।

মাঝ রাতের কাছাকাছি নিজের বক্তব্যে মুসলিমদের আশ্বস্ত করে অমিত বলেন, ওই আইনের ফলে মুসলিমদের কোনও ভয় নেই। বিরোধীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিলের বিতর্কে বিরোধীদের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে ওই বিল এনে মুসলিমদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিয়ে জানাচ্ছি, ওই বিল পাস হলে ভারতের মুসলিমদের কোনও ভয় নেই। ভারতে বসবাসকারী মুসলিমদের সঙ্গে ওই বিলের কোনও সম্পর্ক নেই। এ দেশের মুসলিমদের সঙ্গে কোনও ভেদাভেদ হবে না।

একই সঙ্গে উত্তর-পূর্বের রাজ্য ধরে ধরে জানান, সেখানকার বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। এদিকে লোকসভায় ক্যাব পাসের পরে সব বিরোধী দল ও অমিতকে অভিনন্দন জানান নরেন্দ্র মোদি। সরকারি সূত্রে খবর, আগামীকাল বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিল পেশ করবে সরকার।

এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST