ওমর ফারুক :
মধু মাস হিসেবে পরিরচিত মে মাসের শুরুর দিকে রাজশাহী মহানগরীর বাজারগুলোতে দেশি জাতের লিচু আসতে শুরু করেছে। আকারে ছোট হলেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে লিচু। গত মৌসুমে যেখানে ১০০টি লিচু সর্বোচ্চ বিক্রি হয়েছে ২৪০-২৫০ টাকা দরে। এবার শুরু দিকেই তা বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা দরে।
রাজশাহী মহানগরীর ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রাজশাহীর বাজারে গুটি লিচু বেশ কয়েকদিন আগে থেকে বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে দাম যাই হোক সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দের ফলটি কিনছেন অনেকেই।
সরেজমিন নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লিচু বিক্রির জন্য প্রত্যেকে বছর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বসে অস্থায়ী দোকান। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। নগরীর রেলগেট, লক্ষীপুর বাজার, সাহেববাজার, শালবাগান, নওদাপাড়া, বিনোদপুর, কোর্ট বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে বসেছে দোকান। আবার নগরীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলোতেও লিচু বিক্রি হতে শুরু করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এবার দাম ভালো থাকলেও লিচুর ফলন খুব একটা বেশি হয়নি। তীব্র খরায় লিচুর কিছুটা সমস্যা হয়েছে।
নগরীর লক্ষীপুর বাজার এলাকার এক লিচু বলেন, শুরুর দিকে হওয়ায় খুব বেশি বিক্রি হচ্ছেনা। ১০০টি লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩০০ টাকা দরে। গত ২/৩দিন আগে থেকে লক্ষীপুর মোড়ে লিচু বিক্রি করা শুরু করেছেন। তবে দুই একদিন পরে আরো বেশি লিচু বিক্রি হবে বলে তিনি বলেন।
আরেকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, নগরীর ক্রেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ক্রেতারাও লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার কুরিয়ার বা বিভিন্ন যানবাহনে করেও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে রাজশাহীর লিচু যাচ্ছে। কিন্তু এখনো বোম্বাই জাতের লিচু নামতে শুরু না করায়, অতোটা বেশি হারে যাচ্ছে না।
রে লিচু কিনতে আসা আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি দামে লিচু কিনতে হচ্ছে। মৌসুমি ফল হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের জন্য কম হলেও লিচু কিনে নিয়ে যাব।
তবে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা মনে করছেন বাজারে বোম্বে লিচু আসলে দাম কিছুটা কমতে পারে। তখন সব শ্রেণীর মানুষ এই ফল কিনতে পারবে বলে আশা করছেন।
এদিকে, লিচু নিয়ে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে। গ্রাহকরা বলছেন, এ লিচুতে হয়তো ফর্মালিন দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এত তাড়াতাড়ি লিচু কিভাবে বাজারে আসলো? ব্যবসায়ীদের দাবি, লিচুতে ফর্মালিন দেওয়া হয়নি। এটা প্রাকৃতিকভাবেই পেকেছে। রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের বলেন, চলতি মৌসুমে লিচু ও আমের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। যেকোন সময় লিচু ও আম বাজারে আসতে পারে। তবে ফর্মালিন দিয়ে বাজারে নিয়ে আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। ফর্মালিনের প্রমাণ পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে