নজরুল ইসলাম জুলু, খবর২৪ঘণ্টা.কম: মাদকের নেশা যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই। আগে তরুণ-যুবকরা মাদকে আসক্ত হতো। এখন কিশোর, এমনকি কিশোরীরাও মাদকাসক্তির শিকার হচ্ছে। অতীতে মাদকের তালিকায় প্রধান দ্রব্যটি ছিল গাঁজা। এখন সেই তালিকায় যোগ হয়েছে আরো অনেক নাম। তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর মাদকটির নাম ইয়াবা।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, এটি কেউ দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে তার মধ্যে মানবিক গুণাবলি বলে কিছু অবশিষ্ট থাকে না। খুন-খারাবিসহ হেন অপকর্ম নেই, যা তারা করতে পারে না। শারীরিকভাবেও এর ক্ষতি ভয়ংকর। অথচ ইয়াবা এখন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও সহজলভ্য হয়ে গেছে।
এই ইয়াবার কারবার অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর অনেক সদস্যের বিরুদ্ধেও মাদক কারবারে বা মাদক পরিবহনে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠছে।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, রাজশাহী পুলিশ ইয়াবার কারবারে জড়িয়ে গেছে। এর আগেও রাজশাহীর পবা ও গোদাগাড়ীতে পুলিশের সহায়তায় নিয়মিত মাদকের হাট বসার খবর এসেছে।
মাদক কারবারিদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তো আছেই। তাহলে মাদকের বিস্তার কমবে কিভাবে? আবার মাদক কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে যাদের আটক করা হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই জামিনে বেরিয়ে আসে তারা। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে,
রাজশাহী টিকাপাড়া খুলিপাড়া এলাকার সিরাজের ছেলে আজিজ,মজিদ,রানা,হিটলার, মেয়ে বেলী, রব, রবের ছেলে রবিন, জেকের আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর ওরফে মন্টু, মিনু, হাবিবুর রহমানের ছেলে ভুয়া ফটো সাংবাদিক কাবিল হোসেন, এরা ভয়ংকর মাদক ব্যবসায়ী। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ওরফে মন্টু, সিরাজের ছেলে মজিদ ও রানা মাঝে মধ্যে গ্রেপ্তার হলেও বাকি কেও গ্রেপ্তার হয়নি।
পুলিশের একটি সূত্রে থেকে জনাগেছে এইসব মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ১০ থেকে ২০টা করে মামলা রয়েছে বোয়ালিয়া মডেল থানায়।
২২শে আগষ্ট ২০১৩ মহা-পুলিশ পরিদর্শক ও আর একটি ২৮ জুলাই ২০১৩ ইং তারিখে আরএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবর গ্রেপ্তারের দাবীতে গন স্বাক্ষর দেওয়া হলেও কোন ফল পায়নি এলাকাবাসি।
বরং বোয়ালিয়া পুলিশের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী আজিজ গড়ে তুলেছে বিশাল নেটওয়ার্ক।
উপরন্তু যারা এসব রোধ করবে, তারাই যদি কারবারে জড়িয়ে যায়, তাহলে ফল কী হবে? দ্রুত বিস্তার ঘটবে। হচ্ছেও তাই। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র বা সরকারের কি কোনো ভূমিকা থাকা উচিত নয়?
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নামে সরকারের একটি অধিদপ্তর রয়েছে, যেটি ‘ঢাল নেই, তলোয়ার নেই-নিধিরাম সর্দার’ বা ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’ হিসেবেই বেশি পরিচিত।
তাদের না আছে লোকবল, না আছে মাদক কারবারিদের মোকাবেলা করার সক্ষমতা।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ