ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ ভোলাহাটে ১২টি পেট্রোল বোমাসহ ১৮ আগষ্ট রবিবার রাত সাড়ে ৯টার সময় দলদলী ইউনিয়ন পরিষদ মোড়ে জনতার হাতে এক ব্যক্তি আটক। পরে পুলিশে সোর্পদ। আটকৃত ব্যক্তির নাম ইয়াসিন আলী(৩৫)। পিতার নাম ইসলাম। গ্রাম- নাজিরপুর। ভোলাহাট চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আটকৃত ইয়াসিন জানায়, এ দিন রাতে ইসলামপুর(নিমগাছী) গ্রামের মজিবুরের ছেলে জহরুলের(৩৫) কথা মত তার সাইকেলে উঠে মুশরীভূজা (সোনাপাড়া) যায়। এ গ্রামের আজাহার আলী মাষ্টারের বাড়ীর
সামনে একটি ব্যাগ তার হাতে ধরিয়ে জহরুল কোথায় চলে যায়। পরে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলমাস গুধা দলদলী ইউনিয়ন পরিষদমোড়ের দোকান বন্ধ করে বাড়ী ফিরলে তার সন্দেহ হলে আজাহার আলী মাষ্টারের বাড়ীর ওয়াল ঘিসে অপরিচিত ব্যক্তিকে দাঁড়ীয়ে থাকতে দেখে। সন্দেহ হলে তার বাড়ী কোথায় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ইয়াসিন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এতে
আলমাসের সন্দেহ গভীর হলে তাকে ধরে পরিষদমোড়ে নিয়ে যায়। সেখানে শত শত জনতা জড় হয়ে তার ব্যাগ তল্লাসি করতেই বেরিয়ে আসে ১২টি পেট্রোল বোমা। সে জানাই জহরুল তার হতে দিয়ে স্টকে পড়ে। পরে স্থানীয়রা ভোলাহাট থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইয়াসিনকে স্থানীয় জনতা পুলিশে সোর্পদ করে। পুলিশ তাকে ভোলাহাট থানায় নিয়ে যায় এবং অস্ত্র বিস্ফোরক আইনে ইয়াসিনকে প্রধান আসামী করে সর্বমোট
২জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ ব্যাপারে ভোলাহাট থানার অফিসার ইনর্চাজ নাসিরউদ্দিন বলেন, ২জনকে আসামী করে পুলিশ বাদি হয়ে অস্ত্র বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাঁকী আসামী গ্রেফতার করতে জোর তৎপরতা চলছে বলে জানান। উল্লেখ্য জহরুল ঘটনাস্থলের গ্রামে তোসলিমের মেয়েকে ৬ বছর পূর্বে বিয়ে করে। তাদের একজন কন্যা সন্তান আছে। তার স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ঝামেলা চলছে বলে স্থানীয়রা জানান। এ ঝামেলার জেরে পেট্রোল বোমা মেরে জহরুলের শ্বশুর বাড়ী ধংস অথবা বোমাগুলো তাদের বাড়ীতে রেখে শ্বশুর পরিবারকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল বলে স্থানীয়রা জানান। এ ঘটনায় এলাকায় চাপা আত্মংক বিরাজ করছে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন