1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
ভোলাহাটে সেচ সংকটে তিন হাজার বিঘা বোরো ধান - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ১৫ জানয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

ভোলাহাটে সেচ সংকটে তিন হাজার বিঘা বোরো ধান

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের বিলভাতিয়ায় ৯ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। নিজস্ব শ্যালো মেশিনে ভূগর্ভস্থ পানি দিয়ে গত বছর থেকে বোরো ধানের চাষ করছেন তিনি। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আশঙ্কাজনকভাবে নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ দিতে না পারায় ফাটল ধরেছে জমিতে। অবশেষে তার শ্যালো মেশিনটি গর্ত করে ১০/১২ ফুট নিচে নামিয়ে পানি উঠানোর চেষ্টা করেও কোন লাভ হচ্ছে না। হতাশ হয়ে আব্দুর রহিম ও তার ছেলে ফাটল ধরা জমির চারপাশ ঘোরাঘোরি করতে দেখা গেছে। আব্দুর রহিমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, গত বছর ৯ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলাম। সে বছরও পানির সমস্যা হয়েছিলো। বৃষ্টির পানিতে ধান বাঁচাতে পেরেছিলাম। এ বছর এখন

পর্যন্ত বৃষ্টির পানি নেই। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর গত বছরের চেয়ে নিচে নেমে যাওয়ায় শ্যালো মেশিনে পানি না উঠায় সমতল থেকে ১০/১২ ফুট মাটির নিচে দিয়েও পানি উঠছে না। শেষ পর্যন্ত আম গাছে বিষ স্প্রে মেশিনের সাহায্যে ড্রামে পানি নিয়ে এসে ধানে স্প্রে করছি। তিনি বলেন, তার পাশের বিশু নামের এক কৃষকের শ্যালো মেশিনে পানি উঠা বন্ধ হওয়ায় জমি ছেড়ে চলে গেছে। তিনি দাবী করেন এ সব এলাকায় শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে যে সব বোরো ধান চাষ হয়েছে সে সব জমির ধান সেচ সংকটে মরে গেছে। তিনি বলেন, প্রায় আড়াই থেকে ৩ হাজার বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। বরো চাষি তৈয়নুর বলেন, পানি নিচে নেমে যাওয়ায় শ্যালো মেশিনে পাতাল থেকে পানি উঠে না। যার কারণে হাজার হাজার বিঘা জমির ধান মরে গেছে। মাঠের সব শ্যালো মেশিন বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষ মরা ধান কেটে কেটে গরু মহিষকে খাওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছে বাড়ীতে। কৃষক মইনুর জানান, শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি উঠছে না। যার কারণে ধান মরে গেছে। তিনি বলেন, আমার স্কীমে ৩০ বিঘা জমিতে

বোরো ধান চাষ করেছিলাম। পানি না উঠায় সব ধান মরে গেছে। এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে শ্রমিক, সার-বিষ, হালচাষসহ খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। প্রায় আড়াই হাজার বিঘা জমিতে বিঘা প্রতি ৮ হাজার টাকা খরচ হলে ২ কেটি টাকার উপরে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে তিনি জানান। মইনুর আরো বলেন, শ্যালো মেশিনে ভূগর্ভস্থ পানির সমস্যা হলেও বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে সেমিডিপ স্থাপন করলে এ সব জমিতে পানি সংকট থাকবে না। তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক সংযোগ ব্যাপক ব্যায়বহুল হওয়ায় কৃষকেরা সেমিডিপ স্থাপন করতে পারছেন না। সরকারী উদ্যোগে আড়াই হাজার বা ৩হাজার বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে বিদ্যুতের মাধ্যমে সংযোগ

করে সেমিডিপ স্থাপনের দাবী করেছেন। এদিকে কৃষক তোফাজ্জুল বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ পেলে কৃষক কোটি কোটি টাকার ধান ঘরে তুলতে পারবে। তাই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করে সেমিডিপ স্থাপনের দাবী করেন। তিনি বলেন, একটি পোল নিতে কৃষককে ৫০ হাজার টাকা গুণতে হচ্ছে। গরীব কৃষকের দ্বারা এতো টাকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণে ঐ সব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে সেমিডিপ করা সম্ভব হচ্ছে না। এলাকার কৃষকেরা হাজার হাজার বিঘা জমির ধান বাঁচাতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবী করেছেন। ঐ এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, শ্যালো মেশিনের পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত অসভির নলকূপ বসালে ধানের সমস্যা হবে না। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে

অনেক জায়গায় কৃষকেরা হতাশ হচ্ছেন। তিনি বলেন, বিশাল বড় বিলভাতিয়া খনন করলে পানি সংকট হবে না। সংরক্ষিত পানি থেকে কৃষি জমি চাষ অল্প ব্যয়ে বেশী ফলন পাবেন কৃষকেরা। তিনি বলেন, ভোলাহাটে মোট ৩’শ ডিজেল চালিত মেশিন রয়েছে। বৃষ্টি হলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কিছুটা ওপরে উঠবে। নয়তো বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। উপজেলার শ্যালো মেশিন মালিক ও সচেতনমহল, দ্রæত শ্যালো মেশিন এলাকায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে বিদ্যুৎ চালিত সেমিডিপ স্থাপন করে এলাকার উন্নয়ন করতে দাবী করেছেন।

এস/আর

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST