জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে “আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা পর্যায়ের তালিকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজলা।
এ উপজেলার ১হাজার ১’শ ২২ জন অসহায়-ভূমিহীন, গৃহহীন, দরিদ্র ও ছিনমূল মানুষদের রাস্তার ধারে খাস জমিতে, খোলা আকাশ কিংবা পরের জমিতে বসবাস করত হবে না। এখন নিজের আপন ঠিকানায় বসবাস করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা গড়তে দিন-রাত পরিশ্রম করছেন উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণমাধ্যমসহ জনগণ। উপজেলা প্রশাসন সকলের সহযোগিতায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন প্রকৃত অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাছাই করে বাড়ী দেয়ার।
সরজমিনে চরধরমপুর মুজিবপল্লীর বাসিন্দা বীর মুক্তিযেদ্ধা মো: কায়েশ উদ্দিন বলেন, আমার নিজস্ব জমি না থাকায় শেখ হাসিনা আমাকে বাড়ি উপহার দিয়েছেন। আমি খুব খুশী হয়েছি। এখানে ১০০ টি পরিবার বসবাস করি। এরা সবাই গৃহহীন ভূমিহীন ছিল। রাস্তার ধারে খাস জমিতে বসবাস করতো। এখন সবাই নিজস্ব ঠিকানা পেয়ে খুব খুশী। হাঁস-মুরগী, গরু, সবজি চাষ করে বেশ ভালে মত জীবন যাপন করছেন। এখানে শেখ হাসিনা খেলার মাঠ, মসজিদ, পানি, বিদ্যুৎ, রাস্তা, স্কুল সব কিছুই কর দিয়েছেন। এখানে কোন কিছুর কমতি নেই। দেখতে খুব সুন্দর তাই অনেক মানুষ ইচ্ছে করে দেখততে আসরন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা তাই এর নাম দিয়েছি মুজিব পল্লী।
অপরদিকে, কুলি পুকুর গিয়ে কথা হয় শারীরিক প্রতিবন্ধি মো: নাজমুল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন এতদিন আমি খুব খুব অবহেলীত ছিলাম। শেখ হাসিনা আমার মত প্রতিবন্ধিকে মনে রেখে উপহার হিসেবে বাড়ী দিয়েছেন এতে প্রধানমন্ত্রীর জন্য আজীবিন দেয়া করবো।
হলিদাগাছী গ্রামের মোসাঃ মোমেনা খাতুন বলেন, আমি স্বামী পরিত্যক্তা হয়ে রাস্তার পাশে খাস জমিতে বসবাস করছিলাম। পরে অন্য উপজেলার একজনের সাথে বিয়ে হয়। সে পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখে না। খুব অসহায় জীবন-যাপন করছিলাম। এমন সময় প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার পেয়ে মাথা গোঁজার ঠাই হয়েছে। কোন দিন জমি কিনে বাড়ী দিতে পারতাম না। প্রধানমন্ত্রীর জন্য সারাজীবন দোয়া করবো বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মমর্কা মো: কাউসার আলম সরকারের সাথে যোগাযেগ করা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘরগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিবিড় ভাবে তদারকী করেছেন যাতে গুণগত মান ঠিক থাকে।
উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবসসুম বলেন, ভোলাহাট উপজেলায় কয়েক ধাপে ১ হাজার ১;শ ২২টি ঘর খুব স্বচ্ছ ভাবে নিমার্ণ হয়েছে। এখন ভূমিহীন গৃহহীন মানুষরা স্বাচ্ছন্দে বসবাস করছেন। তারা নিজ ঠিকানা পেয়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি বলেন আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ভোলাহাট উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণার তালিকায় রেখেছেন।
বিএ/