1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
ভোলাহাটে অল্প বৃষ্টিতে রাস্তায় হাঁটু কাদা, দুর্ভোগ পথচারীদের - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০২ অপরাহ্ন

ভোলাহাটে অল্প বৃষ্টিতে রাস্তায় হাঁটু কাদা, দুর্ভোগ পথচারীদের

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৬ মে, ২০২১

মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তা অল্প বৃষ্টিতে হাঁটু কাদা হওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। ভোলাহাট উপজেলার প্রাচীণ সভ্যতার সম্ভাবনাপূর্ণ স্মৃতিচিহ্ন জঙ্গলবাড়ী ঢিঁপি যাওয়ার রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার বিঘা জমির ধান সবজি তুলে নিয়ে আসেন কৃষকেরা। কিন্তু অল্প বৃষ্টিতে হাঁটু কাদার সৃষ্টি হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় সকল যান চলাচল। ফলে কৃষকদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। এদিকে পূরাকীর্তি সমৃদ্ধ স্থান জাগলবাড়ী ঢিঁপি দেখতে ছুটে যান শত শত মানুষ। কিন্তু বছরের অধিকাংশ সময় কাদা থাকায় রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়ায় কোন কাজে আসে না।

বরই চাষি বাদশা, সবজি চাষি এহসান ও ধান চাষি হাকিমুল বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই মাত্র ১ কিঃমিটার রাস্তায় এক হাঁটু কাদা হয়ে যায়। যার কারনে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে হাজার হাজার বিঘা জমির ধান-সবজিসহ অন্যান্য ফসল তুলে নিয়ে আসতে চরম বিপদের মুখে পড়তে হয়। রাস্তাটিতে মাঝে মধ্যে লাখ লাখ টাকা খরচ করে চেয়ারম্যান মেম্বারেরা মাটি ভরাট করেন। মাটি ভরাট করে আরো কাদার সৃষ্টি হয় এতে সরকারের টাকা খরচ করে মানুষের কোন লাভ হয় না বরং ক্ষতি হচ্ছে। তাই রাস্তাটি পাকা করলে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল সহজেই তলে নিয়ে আসা যাবে।

গবেষক  রবিউল ইসলাম বলেন, ঢিঁপিতে যত্রতত্র ছিটিয়ে রয়েছে গৌড়িয়া ইট। আছে পুড়া মাটির বিভিন্ন আসবাবপত্রের নক্সাকৃত ভগ্নাংশ। ইতিপূর্বে এ স্থানে অনেকে প্রচুর সোনার অলংকার কুড়িয়ে পেয়েছে বলে লোক মুখে শুনা যায়। গত ১৯৯২ সালে ঐস্থানের পাশে একটি ক্যানেল কাটার সময় বেশ কিছু প্রাচীণ তামা ও ব্রঞ্চের অলংকার পাওয়া যায়। কিংবদন্তি আছে যে ঐ স্থান অতি ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রসিদ্ধ ছিলো। এ জাগলবাড়ীর পাশ দিয়ে এক সময় নদী প্রবাহিত হতো।

দলদলী ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আব্দুল কাইউম জানান, প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান জাগলবাড়ী যেতে ১ কিঃমিটার কাঁচা রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। তাছাড়া এর আশে পাশে রয়েছে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি। অল্প বৃষ্টিতে কাঁচা রাস্তাটি কাদা হয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা তাদের ফসল তুলতে দূর্ভোগে পড়েন। আর ঐতিহাসিক জাগলবাড়ী ঢিঁপিতে দর্শনর্থীদের যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। ফলে তিনি রাস্তাটি পাকা করনের দাবী জানিয়েছেন।

দলদলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আরজেদ আলী ভুটু জানান, জাগলবাড়ীর ১ কিলোমিটার রাস্তাটি জনগুরুত্বপূণ। কৃষকদের হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল তুলতে কষ্ট হয়। এদিকে ঐতিহাসিক জাগলবাড়ী ঢিঁপি দেখতে যায় দর্শনার্থীরা। ফলে রাস্তাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে পাকা করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এস/আর

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST