ঢাকাশনিবার , ১৪ মার্চ ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভোটের দিন গাড়ি চলবে, অফিস খোলা অর্ধদিবস

khobor
মার্চ ১৪, ২০২০ ৩:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা জানিয়েছেন, ছুটির ফাঁদ এড়াতে ভোটের দিন অর্ধদিবস অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া ভোটারদের কেন্দ্রে টানতে সীমিত আকারে নগরে যান চলাচলের অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শনিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আয়োজিত রিটার্নিং অফিসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘চট্টগ্রামের নির্বাচন নিয়ে আমরা অতিরিক্ত কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। নির্বাচনের দিনে আমরা সাধারণত সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেই। কিন্তু যেহেতু ২৬ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত টানা কয়েক দিনের ছুটি। এ অবস্থায় আমরা যদি নির্বাচনের দিন অফিস বন্ধ রাখি তাহলে চার-পাঁচ দিনের একটি ছুটির ফাঁদে পড়ে যাবে ভোটাররা। তখন তারা নির্বাচনকে প্রাধান্য না দিয়ে, যার যার বাড়ি চলে যেতে পারে। এ প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে নির্বাচনের দিনে অর্ধবেলা অফিস খোলা থাকবে, বিকেলের দিকে অফিস বন্ধ থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যান চলাচলের ব্যাপারে অন্যান্য নির্বাচনে আমরা কঠোর অবস্থানে থাকি, যেকোনো ধরনের ব্যক্তিগত পরিবহন ও বাস-মিনিবাস বন্ধ রাখি। দেখা গেছে যান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ভোটাররা দূরের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন না। অনেকে সেই অজুহাতে ভোট দিতে যান না। সেক্ষেত্রে আমরা বলেছি, পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসন রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে বসে, পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বসে কত সীমিত আকারে যান চলাচল চালু রাখা যায় সে ব্যাপারে তারা ঠিক করবেন।’

সিইসি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পোলিং এজেন্ট কেন্দ্রে আসেননি। পোলিং এজেন্ট হবেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি। কেন্দ্রে কোনো অনিয়ম হলে তাকে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকতে হবে।’

এর আগে মতবিনিময় সভায় সূচনা বক্তব্যে সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচনে বড় অভিযোগ- ভোটকেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া। তবে পোলিং এজেন্টকে নিজ দায়িত্বে কেন্দ্রে আসতে হবে। যখনই তিনি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করবেন তখন তাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।’

তিনি বলেন, ‘অভিযোগ আসে পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্রে আসতে দেয়নি, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়- ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন না এজেন্টরা। এছাড়া গত দুই বছরে ভোটকেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। প্রার্থীদের কাছে অনুরোধ আপনারা যোগ্য এজেন্ট দেবেন। এক্ষেত্রে কারও অধিকার ব্যাহত হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। তবে বলতে হবে কে, কখন, কোথায় বাধা দিয়েছে।’

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য সবার সহযোগিতা চাই। এখানে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কোনো স্বার্থ নেই।’

কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে যে ধরনের কথা প্রচলিত আছে, ঢাকায় দুই সিটি নির্বাচনের পর সেসব কথা কমে গেছে। আপনারা দেখেছেন আগে নির্বাচনের আগে ইভিএম নিয়ে নানা টকশো, আলোচনা হতো- এখন তা নেই। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে এবং বিষয়টি সাংবাদিকরা ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারলে এই সমালোচনা আর থাকবে না।’

বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- ডিআইজি ওমর ফারুক, সিএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, সহকারী রিটার্নিং অফিসার মনির হোসেন খান, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীসহ জেলার সিনিয়র কর্মকর্তারা।

খবর২৪ঘন্টা/নই

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।