এসময় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে বিভ্রান্ত করে উপাচার্য হয়েই সোবহান সাহেব নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম করে যাচ্ছেন। তিনি নির্ধারিত যোগ্যতা থেকে অনেক দূরে গিয়ে তার জামাইকে শিক্ষক বানিয়েছেন। যা দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই নেই। আর প্রোভিসি জাকারিয়া সাহেবের দরকষাকষির ট্রেলারই তো বের হয়ে গেছে। কাজেই তারা নৈতিকভাবে ভিসি এবং প্রো-ভিসি পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, উপাচার্য সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে ‘জয় হিন্দ’ বলে এই বাংলার মাটির তিরিশ লাখ শহীদের রক্তকে অসম্মানিত করেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গোল্ডমেডেল পাওয়া প্রার্থী স্বাভাবিকভাবে চাকরি পাচ্ছে না। তাকে টাকা দিয়ে চাকরি নিতে হচ্ছে। যার ফোনালাপে প্রো-ভিসির জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অধ্যাপক সুজিত সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে চলছে দুর্নীতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সর্বোচ্চ কর্ণধার শিক্ষক নিয়োগের জন্য টাকা চাইছেন।আমি এই দুর্বৃত্তদের শাস্তি দাবি করছি।
শিক্ষকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এ মানববন্ধনে যোগ দেয় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও। এসময় তারা বিক্ষোভ মিছিলও করেন।তবে তাঁর আমলে কোনো ধরনের অনিয়ম বা দুর্নীতি হয় নি বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড, আবদুস সোবহান বলেছেন, যারা আন্দোলনে নেমেছে তারাই স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসর। বিএনপি-জামায়াতকে সঙ্গে ক্যাম্পাসের স্থিতিশীল পরিবেশ নষ্টের ষড়যন্ত্র চলছে। তবে প্রো-ভিসি চৌধুরী জাকারিয়ার ফোনালাপ ফাঁস প্রসঙ্গে বলেন, এ বিষয়ে ইউজিসি তদন্ত করতে পারে।
খবর২৪ঘণ্টা, এমকে