খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের হামলায় আহত ভিপি নুরুল হক নুরকে ঢাকা মেডিকেলে দেখতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী।
ভিপি নুরকে দেখতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, আমি তথ্য পেয়েছি অনেক বহিরাগত এসেছিল। আমাকে ছবি দেখিয়েছিল প্রক্টর। আমার ধারনা তোমাকে আটকে রেখে ওরা একটা লাশ চেয়েছিল। তুমি তাদের ষড়যন্ত্রের শিকার। তাছাড়া এমন আটকে রাখা হবে কেন? এ সময় শিক্ষার্থীরা ভিসিকে হামলার নানা বিষয়ে অবগত করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে ‘দালাল’ ও ‘নির্লজ্জ’ বলে গালি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত ভিপি নুরকে দেখতে রোরবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে ঢাবি উপাচার্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে শিক্ষার্থীরা তার কাছে বিচার দাবি করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা আপনাদের চাই না। যদি মনে হয়, আপনারা এর বিচার করতে পারবেন না, দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, তাহলে পদত্যাগ করুন।’
এ সময় ভিসির কাছে প্রক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সালাহ উদ্দিন সিফাত বলেন, ডাকসু ভিপি নুরসহ অন্যদের ওপর হামলার সময় আমি প্রক্টর স্যারের কাছে বিচারের দাবি নিয়ে গেলে তিনি আমাকে বলেন, ‘তুমি বেশি নেতা হয়ে যাচ্ছো। তোমাকে বহিষ্কার করব।’ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী, তিনি আমাকে রক্ষা না করে উল্টো বহিষ্কার করার কথা বলছেন, পুলিশে দেয়ার কথা বলেছেন।
ডাকসুর ভিপিকে কীভাবে দরজা বন্ধ করে পেটায়, তার উত্তর চায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় কিছুক্ষণ প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে উপাচার্য ও প্রক্টরকে নিয়ে যান।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘নির্লজ্জ ভিসি, ধিক্কার, ধিক্কার’, ‘দালাল ভিসি, ধিক্কার, ধিক্কার’, ‘দালাল প্রক্টর, ধিক্কার, ধিক্কার’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।
এমকে