1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
ভিজিডি’র এক হাজার ৩৮৩ মণ চাল লোপাট, তদন্ত কমিটি গঠন - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ০৪ জানয়ারী ২০২৫, ০:১০ অপরাহ্ন

ভিজিডি’র এক হাজার ৩৮৩ মণ চাল লোপাট, তদন্ত কমিটি গঠন

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় আলীপুরা ইউনিয়নে ভিজিডি’র সুফলভোগী ৬১৫ জনের তিন মাসের চাল লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদশা ফয়সাল সুফলভোগীদের টিপসই নিলেও তাদের চাল দেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ফলে ক্ষোভ এবং বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ।

এ ঘটনায় পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগের তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মো. হেমায়েত উদ্দিনকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করেছেন।

সম্প্রতি নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে, একের পর এক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে সরকার যখন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে ঠিক সে সময়েই সরকারের সামজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর অন্যতম একটি খাত ভিজিডি কর্মসূচীর ৬১৫ জন সুফলভোগীর তিন মাসের ৫৫,৩৫০ কেজি অর্থাৎ ১ হাজার ৩৮৩ মণ চাল আত্মসাৎ করেছেন বলে দশমিনা উপজেলার আলিপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদশা ফয়সালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয়রা। চেয়ারম্যানের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছেন তারা। ভুক্তভোগীরা জানান প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও চলতি বছরের মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসে চেয়ারম্যান চাল না দিয়েই ভিজিডি’র মাস্টাররোলে সকলের টিপ সই নিয়েছেন।

এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের একাধিক ইউপি সদস্যরা। আর আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান হওয়ায় এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে বিব্রত স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

তবে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বাদশা ফয়সাল দাবি করেন, এটি তার বিরুদ্ধে বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্র। তিনি সকল সুফলভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ করেছেন।

এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া ফেরদৌস জানান, এ ঘটনায় ইউপি সদস্যরা অভিযোগের কপিটি আমি জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করেছি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মো. হেমায়তে উদ্দিনকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মো. হেমায়েত উদ্দিন জানান, তদন্তের জন্য আগামী ১৭ জুন তারিখ নির্ধারণ করে চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুফলভোগী, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করা হবে।

এদিকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এর আগেও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অর্থ আত্মসাৎ, ত্রাণ আত্মসাৎ সহ গরু চুরি এবং নারীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। খবর২৪ঘন্টা /এবি

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST