খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: ৫৮ ঘণ্টার লড়াই শেষ। ঘরের ছেলে ফিরে এলেন ঘরে। তবে এবার ভারতে ফিরে অন্য রকম পরীক্ষার মুখে তাকে পড়তে হবে। এ যেন এক অগ্নি পরীক্ষা!
তিনি উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। যিনি যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া করে পাকিস্তানের সেনার হাতে বন্দি হন। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। শুরু হয় অভিনন্দনের অন্য লড়াই। এই লড়াই কখন থামবে জানতেনও না তিনি নিজেও। তবুও ভেঙে পড়েননি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। টানা ৫৮ ঘণ্টা পর ভারতে ফিরেছেন তিনি।
এবার ভারতে ফিরে অগ্নি পরীক্ষার মুখে অভিনন্দন। দু’দিনের বেশি সময় পাকিস্তানে কাটিয়ে এসেছেন তিনি। যেহেতু অভিনন্দন যুদ্ধবন্দি ছিলেন সেহেতু বিমান বাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী তাকে কিছু পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। কি সেই পরীক্ষা জেনে নেয়া যাক।
১. প্রথমেই তাকে নিয়ে যাওয়া হবে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ইনটেলিজেন্স ইউনিটের কাছে।
২. এরপর কিছু মেডিকেল ও ফিটনেস পরীক্ষা করা হবে তার।
৩. পুরো শরীরের স্ক্যানিং হবে। অনেক সময় যুদ্ধবন্দি সেনা কর্মকর্তাদের শরীরে মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দেয়া হয়। সেই চিপের মাধ্যমে সেই দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য আদায় করে শত্রুপক্ষ। তাই এই স্ক্যানিং খুব জরুরি।
৪. বিমান বাহিনীর এই উইং কমান্ডারকে সাইকোলজিক্যাল পরীক্ষাও দিতে হবে। বন্দি থাকাকালে অনেক ট্রমা ও মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। তার মুখ থেকে তথ্য আদায় করতে অনেক নৃশংস পন্থা অবলম্বন করতে পারে পাকিস্তান। তাই এই পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি।
৫. বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের জেরার মুখে পড়তে হতে পারে। সাধারণত বিমান বাহিনীর গুপ্তচর বা কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা জেরা করতে পারে না।
৬. সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা- নিজের কর্মকর্তাদের অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে অভিনন্দনকে। কর্মকর্তাদের কাছে নিজের বিশ্বস্ততার প্রমাণ দিতে হবে। তাকে প্রমাণ দিতে হবে তিনি এখনও ভারতীয় বিমান বাহিনীর একজন নিবেদিত কর্মকর্তা।
বিমান বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এর কোনও একটি পরীক্ষায় ফেল করলে ককপিটে আর বসা হবে না উইং কমান্ডারের। তাকে ডেস্কের কাজে বসিয়ে দেয়া হতে পারে। তবে এখনই এসব বলার সময় আসেনি। বিমান বাহিনী আশাবাদী যে রকম সাহসের পরিচয় দিয়ে ভারতে ফিরেছেন সেই একই ভাবে এই পরীক্ষাগুলোতেও সসম্মানে পাশ করে যাবেন।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন