খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, দাসত্বের নয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসার বিরোধীতা করা মানে মুজিববর্ষের বিরোধীতা করা।
আজ বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দুই জেলা নেতাদের হাতে সদস্য ফরম ও গঠনতন্ত্র তুলে দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে স্বার্থের কথা ভুলে যাই না। ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু। দেশটির প্রতিনিধি হয়েই মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।’
কাদের বলেন, ‘এখন যারা মোদির বাংলাদেশে আসার বিরোধিতা করছেন, তারাই ভারতের সঙ্গে দাসের মতো আচরণ করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারতে গিয়ে পানির ন্যায্য হিস্যা আলোচনা করতে ভুলে গিয়েছিলেন। সেই দলটির নেতারা ভারতের নেতাদের খুশি করতে দাসের মতো আচরণ করেন। এখন তারা কোন লজ্জায় মোদির বিরোধিতা করছেন?’
কাদের আরও বলেন, ‘মুজিববর্ষে মোদির আগমনে যারা বিরোধিতা করছেন, তারা প্রকারান্তরে মুজিববর্ষেরই বিরোধিতা করছেন।’
জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের দলের সদস্য না করতে তৃণমূল নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন কাদের। পাশাপাশি দাগি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তরাও আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না মর্মে তৃণমূল নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
খবর২৪ঘন্টা/নই