খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: এবার ঈদ উৎসবে প্রতিবেশি দুই দেশের সম্প্রতিতে বাধা হয়ে দাঁড়ালো পাকিস্তান। প্রথা মেনেই আটারি-ওয়াঘ সিমান্তে সোমবার (১২ আগস্ট) ঈদের উপহার হিসেবে হাতে মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের জওয়ানরা। কিন্তু সেই মিষ্টি গ্রহণ করেনি পাকিস্তানি রেঞ্জার্স।
কাশ্মীরের উপর থেকে আর্টিকল ৩৭০ তুলে নেয়ার পর থেকে ভারতের বিরোধীতা করে অসহযোগিতার পথে হাঁটে পাক সরকার। দু’দেশের মধ্যে ট্রেন্ট, বাস চলাচল এমনকি বাণিজ্যিক সম্পর্কও বন্ধ করে দেয় ইমরান খানের সরকার।
শুধু কি তাই, কাশ্মীর ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরোধীতা করে ইসলামাবাদে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ফেরত পাঠিয়ে দেয় পাকিস্তান। দিল্লি থেকেও পাক রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে নেয় ইমরান খানের সরকার।
বিএসএফ-এর অমৃতসর সেক্টরের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল জেএস ওবেরয় জানান, প্রথা মেনেই প্রতি ঈদে বিএসএফ-এর তরফে পাকিস্তান রেঞ্জার্সকে মিষ্টি দিয়ে সম্প্রতির বার্তা দেয়া হয়। এবারও প্রস্তুত ছিল বিএসএফ। কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনও সাড়া মেলেনি।
তিনি আরও বলেন, শুধু ঈদ নয়, দুই দেশের জাতীয় উৎসব যেমন দিওয়ালি, স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতান্ত্রিক দিবসেও আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতির বার্তা হিসেবে মিষ্টি ও উপহার দেয়ার রীতি রয়েছে।
বিএসএফ-এর এই ডেপুটি ইন্সপেক্টরের ধারণা, সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুতে দু’দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে হয়তো এমনটা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া গত সোমবার মোদি সরকার জম্মু-কাশ্মীর থেকে আর্টিকল ৩৭০ তুলে নেয়ার প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে সব সম্পর্ক বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়তো নিয়েছে ইমরান খানের সরকার।
ঈদের পর ১৪ ও ১৫ আগস্ট যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারতের স্বাধীনতা দিবসে সম্প্রতির বার্তা থেকে দূরে থাকতে চলেছে দুই দেশ। তবে এটাই প্রথমবার নয়, সীমান্তে সিজ ফায়ার চালানোর প্রতিবাদে গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসেও পাক রেঞ্জার্সের সঙ্গে মিষ্টির আদানপ্রদান করেনি বিএসএফ। তার আগে ২০১৬ ভারতীয় সেনা পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীরে আতঙ্কবাদ ধ্বংসের জন্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর পর দিওয়ালিতেও মিষ্টি আদান-প্রদান বন্ধ থাকে। সূত্র: কলকাতা২৪
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন