খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও  ভাংচুর-লুটপাটের অভিযোগ এনে ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী নোয়াখালী জেলা বাস্তহারা লীগের সহসভাপতি ও নরোত্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক মো. আতিক উল্লা।

মিরওয়ারীশপুর গ্রামের ইমাম হোসেন বাহার, দিমানসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক সোমবার রাতে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি করেন। নোয়াখালী কোর্টে আজ মঙ্গলবার এ মামলার ২ নম্বর আসামি দিমান হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায় ।

সম্প্রতি উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামের ওয়াজীদ বেপারী বাড়ির মো. ফারুকের ছেলে ফয়সলের সাথে পার্শ্ববর্তী  মীরওয়ারীশপুর গ্রামের মুসার বাপের বাড়ির বেলালের ছেলে আঃ জলিলের মারামারি হয় । এ ঘটনার জের ধরে গত ১৯ জুন  বিকেলে মীরওয়ারীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজাহান সাজুর  অনুগত বাহার সুমন, টিপু, বাবলু, জনি, নাছির, ফারুক, লিটন, বাবু, সুয়েলের নেতৃত্বে ৭০/৮০ একদল সন্ত্রাসী বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী রোডের  মিরওয়ারীশপুর বাজারে রামদা-কিরিচ-পিস্তল নিয়ে হামলা চালায়।

সন্ত্রাসীরা মজুমদারহাট বাজারের ব্যবসায়ী আতিক উল্লার স্যনিটারী দোকান, তাজুল ইসলামের মুদি দোকান ভাংচুর ও লুট করে । এছাড়া একটি জাতীয় দৈনিকের নোয়াখালী সংবাদদাতা মুহাম্মদ হানিফ ভুঁইয়ার মটরসাইকেল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স রহমান মেডিকেল হলসহ ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পার্শ্ববর্তী নরোত্তমপুর গ্রামের মোকলেছ মিস্ত্রি, ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন, হায়দার কন্ট্রাকটর, মফিজ মোহরার, সোলাইমান মিয়ার,চেরাজল হক মিয়ার. দেলুমিয়া, কাসেমের বাড়ি ভাংচুর করে। এ সময় তাদের হামলায় কমপক্ষে ৫ আহত হয়। আহতদের মধ্যে মাহাফুজ (৪০)কে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।

খবর ২৪ঘণ্টা/ নই