1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
ভর্তি নেয়নি কোনো হাসপাতাল, সড়কেই মারা গেলেন নারী - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ০৮ জানয়ারী ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন

ভর্তি নেয়নি কোনো হাসপাতাল, সড়কেই মারা গেলেন নারী

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: শরীরে জ্বর নিয়ে দুইদিনেও কোনো হাসপাতালে স্থান পাননি সালমা খাতুন। অবশেষে বুধবার দুপুরে ফেনীর শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে ছেলে ও জামাতার সামনেই প্রাণ গেছে তার। ছেলে কামাল উদ্দিন জানান, জ্বর থাকায় করোনাভাইরাস সন্দেহে কোনো বেসরকারি হাসপাতালই তাকে ভর্তি নেয়নি। সালমা খাতুন দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউপির উত্তর আলীপুর গ্রামের বাদশা মিয়াজী বাড়ির সফি উল্লাহর স্ত্রী। কামাল উদ্দিন আরো জানান, গত কয়েকদিন ধরে তার মা প্রচণ্ড জ্বরে ভুগছিলেন।

সোমবার সকালে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে ভর্তি করান। কিন্তু দুপুর ২টা পর্যন্ত তাকে কোনো চিকিৎসা না দেয়ায় বিকেলে স্বজনরা সেখান থেকে নিয়ে যান। এরপর তাকে একে একে শহরের আলকেমি হাসপাতাল, আল-বারাকা হাসপাতাল, কার্ডিয়াক হাসপাতাল, মেডিনোভা হাসপাতাল, ইবনে হাসমান হাসপাতালে ভর্তি করাতে চাইলেও কেউ ভর্তি করাতে রাজি হননি।নিরুপায় হয়ে সন্ধ্যায় তাকে বাড়ি নিয়ে যান। বুধবার ফের হাসপাতালের উদ্দেশ্যে তাকে সিএনজি অটোরিকশায় নিয়ে শহরে আসেন ছেলে কামাল উদ্দিন ও জামাতা নজরুল ইসলাম। তারা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভর্তি করাতে কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যান। এবারো ভর্তি করাতে ব্যর্থ হয়ে শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে সিএনজি অটোরিকশায় রেখে ছেলে ও জামাতা মিলে পরামর্শ করছিলেন। এ সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
নিরুপায় হয়ে সন্ধ্যায় তাকে বাড়ি নিয়ে যান। বুধবার ফের হাসপাতালের উদ্দেশ্যে তাকে সিএনজি অটোরিকশায় নিয়ে শহরে আসেন ছেলে কামাল উদ্দিন ও জামাতা নজরুল ইসলাম। তারা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভর্তি করাতে কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যান। এবারো ভর্তি করাতে ব্যর্থ হয়ে শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে সিএনজি অটোরিকশায় রেখে ছেলে ও জামাতা মিলে পরামর্শ করছিলেন। এ সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

পরিবার সূত্র জানায়, বুধবার বাদ আসর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সালমা খাতুনের জামাতা নজরুল ইসলাম জানান, কোনো হাসপাতালে ভর্তি করাতে না পেরে এক প্রকার বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন তার শাশুড়ি। মৃত্যুর আগে তার ১০২ ডিগ্রি জ্বর ছিলো। পপুলারে পরীক্ষার রিপোর্টে তার টাইফয়েড নির্ণয় হয় বলে জানান তিনি।
দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুবাইয়াত বিন করিম জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা গেছে এমন তথ্য তাকে জানায়নি। তাই নমুনাও সংগ্রহ করা হয়নি।
এদিকে কার্ডিয়াক হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মদ মিলন জানান, চিকিৎসা না থাকায় কোভিড-১৯ সন্দেহজনক রোগীদের ভর্তি করা হয়না। প্রতিদিন অনেক রোগীই চিকিৎসা নিতে আসেন। তবে রোগী ভর্তি হতে না পেরে সড়কে মারা যাওয়ার বিষয়টি তাদের জানা নেই বলে জানান তিনি। খবর২৪ঘন্টা /এবি

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST