দেশে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষের জীবনহানি ঘটলেও সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হচ্ছে। জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ না থাকার কারণেই মানুষের জীবনের নিরাপত্তা সরকারের কাছে বারবার উপেক্ষিত হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনার পর নিখোঁজ যাত্রীদের দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানিয়ে শুক্রবার এক শোক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘নৌকা ও ট্রলারের সংঘর্ষে যারা প্রাণ হারিয়েছে এবং যারা এখনও নিখোঁজ রয়েছে তাদের স্বজনদের মতো আমিও গভীরভাবে ব্যথিত, শোকাভিভূত ও উদ্বিগ্ন।’
এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার লইছকা বিলে আনন্দবাজার ঘাটগামী যাত্রীবাহী একটি ট্রলারের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবোঝাই ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে যাত্রীবাহী ট্রলারটি উল্টে যায়। এতে ট্রলারটিতে থাকা প্রায় ৭০ জনের মতো যাত্রীর সবাই নদীতে পড়ে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ দুর্ঘটনাকে হৃদয়বিদারক উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোকবার্তায় বলেন, ‘বারবার নৌ দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষের জীবনহানি ঘটলেও তার কারণ খতিয়ে দেখে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হচ্ছে। জনগণের প্রতি সরকারের দায়িত্ববোধ না থাকার জন্যই মানুষের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি বারবার উপেক্ষিত থাকছে।’
তিনি বলেন, ‘নদ-নদীর পাশাপাশি সড়কগুলোতেও একের পর এক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতেও সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তা কখনোই আলোর মুখ দেখে না।’
বিএনপি মহাসচিব শোক বিবৃতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌ দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারীদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান।
জেএন