খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ নিহত হওয়ার পর ক্ষোভ ও শোকাবহ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
সোমবার সকাল ৯টায় এ পরীক্ষা শুরু হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত টানা ৩ ঘণ্টা এই লিখিত পরীক্ষা দেবেন ভর্তিচ্ছুরা।
পরীক্ষা শুরুর আগে বুয়েটের ২ নম্বর গেটে গিয়ে দেখা যায়, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপচেপড়া ভিড়। বুয়েট কর্তৃপক্ষ মাইকে বারবার ঘোষণা করছিলেন, শুধু ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরাই ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন। অভিভাবকরা গেটের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র খুলে উঁচু করে তা হাতে নিয়ে গেটের দিকে এগোনোর জন্য আহ্বান করছি।’
নিরাপত্তার স্বার্থে বুয়েট ক্যাম্পাসের ভেতরে অভিভাবকদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না বলেও মাইকে জানানো হয়।
ভর্তি পরীক্ষার অল্প কয়েক দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট ক্যাম্পাস। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি জুড়ে দেন। তাদের দাবি মানা না হলে ভর্তি পরীক্ষা হতে দেয়া হবে না বলেও জানান আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিতে শুরু করলে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর আন্দোলন শিথিল করে আন্দোলনকারীরা।
এ বিষয়ে বরিশাল সদর থেকে আসা অভিভাবক সিরাজুল হক বলেন, ‘আমার ছেলে এ বছর বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে। যখন শুনলাম, বুয়েটের শিক্ষার্থীরা আবরার হত্যার প্রতিবাদে নানা দাবিতে ভর্তি পরীক্ষা হতে দেবে না বলছে, তখন আতঙ্কিত ছিলাম। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুয়েট প্রশাসনের দ্রুত সিদ্ধান্তে ভালোভাবে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এখন দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছি।’
বুয়েটে ভর্তির আবেদন শুরু হয় গত ৩১ আগস্ট। আবেদন ও ভর্তি ফি প্রদানের শেষ দিন ছিল ৯ সেপ্টেম্বর। ভর্তি পরীক্ষার যোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয় ১৮ সেপ্টেম্বর এবং আজ (১৪ অক্টোবর) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষার ফল আগামী ২৬ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে।
বুয়েটে রাসায়িনিক প্রকৌশল বিভাগে ৬০, ধাতব প্রকৌশলে ৫০, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ১৯৫, পানি সম্পদ প্রকৌশলে ৩০, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ১৮০, নৌ স্থাপত্য ও সামুদ্রিক প্রকৌশলে ৫৫, শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশলে ৩০, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশলে ১৯৫, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে ১২০, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩০, স্থাপত্য বিভাগে ৫৫ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে ৩০টি আসন রয়েছে।
আবেদনকারীদের মধ্য থেকে প্রথম ১২ হাজার জনকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা, এমকে