খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে লঞ্চডুবির ওই ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩০ জনে।
সোমবার বেলা সোয়া একটা পর্যন্ত নদীতে তল্লাশি চালিয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কোস্টগার্ড। উদ্ধার হওয়া ৩০ লাশের মধ্যে ২২ জন পুরুষ, পাঁচজন নারী এবং তিনটি শিশু। নিখোঁজ বাকিদের উদ্ধারে তল্লাশি চালাচ্ছে কোস্ট গার্ড।
কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার হায়াৎ ইবনে সিদ্দিক ৩০টি মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফরাশগঞ্জ-শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ডুবে যায়।
জানা যায়, সকাল পৌনে আটটার দিকে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথে ফরাশগঞ্জ এলাকায় ময়ূর-২ নামের লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ডুবে যায় সেটি। কেরানীগঞ্জের একটি ডকইয়ার্ড থেকে মেরামত শেষে ময়ূর-২ নদীতে নামানোর সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠলেও এখনো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খবর২৪ঘন্টা/নই