বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় খোট্টাপাড়া গ্রামে দুই বছর আগে ইচ্ছার বিরুদ্ধে মেয়েকে বিয়ে দেন তার বাবা-মা। মেয়ে বিয়ে অস্বীকার করায় তার মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছেন তার গর্ভধারিনী।
নিজ গৃহে নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া গ্রামের অটোরিকশাচালক বেলাল হোসেন ও গৃহিনী রূপালী বেগমের মেয়ে।
এ ঘটনায় শনিবার বিকালে ওই ছাত্রী শাজাহানপুর থানায় মাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। পুলিশ ওই দিনই তার মা রূপালী বেগম ও ফুফু মমতাজ বেগমকে গ্রেফতার করেছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাবা বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী দুই বছর আগে মেয়েকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেন। কিন্তু সে বিয়ে অস্বীকার করে।
এতে বাবা-মা ক্ষুব্ধ হয়। পরে মেয়েটি পাশের মাদলা গ্রামে ফুফুর বাড়িতে আশ্রয় নেয় এবং স্থানীয় স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। ৩১ ডিসেম্বর তাকে আবারও বিয়ে দিতে জোর করে মা। তাকে ফুফুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে মারধর করে শিকল দিয়ে খাটের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এতেও রাজি না হলে শনিবার দুপুরে তার মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়।
ওই ছাত্রীর স্বজনরা জানান, সে ছাত্রী বিপথগামী হয়ে গেছে। সম্মান বাঁচাতে বাবা-মা তাকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। রাজি না হওয়ায় বাড়িতে আটকে রাখতে মাথা ন্যাড়া করে দেন।
এ ঘটনা জানেন খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল ফারুক। তিনি বলেন, শোনেছি মেয়েটি বিপথগামী হয়ে গেছে বলে তার মা তাকে ন্যাড়া করে দিয়েছে, যাতে বাড়ির বাইরে যেতে না পারে।
শাজাহানপুর থানার ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ জানান, নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী শনিবার বিকালে থানায় এসে মাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে তার মা ও ফুফুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এমকে