1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস নিয়ে কিছু কথা... - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস নিয়ে কিছু কথা…

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
ছবি : ওমর ফারুক

ওমর ফারুক :
আজ বিশ্ব ভালবাসা দিবস। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। ১৪ ফেব্রুয়ারীকে ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয় বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। তবে দেশের সব ধরণের মানুষের মধ্যে ভালোবাসা দিবস পালনের প্রবণতা দেখা যায় না। এক শ্রেণীর তরুণ-তরুণী ও যুবক-যুবতীরা এ দিনটিকে উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে পালন করে। এ দিনেই প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে তারা বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে ও ভালবাসার কথা জানায়। আবার এমনও খবর শোনা যায় ভালোবাসা দিবসে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের মতো জঘন্য অনাকাঙ্খিত ঘটনা। যা সমাজের উপর এর বিরুপ প্রভাব পড়ে। এসব ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে একজন নারীর স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়ে যায়। এ দিবসে অন্যান্য ফুলের তুলনায় গোলাপ ফুলের চাহিদাও বেড়ে যায় অনেক বেশি। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফুল ব্যবসায়ীরা প্রতিটি গোলাপের মুল্য ১০ গুণ বাড়িয়ে দেয়। ৫ টাকার গোলাপ কিনতে হয় ৫০ টাকায়। তবুও পিছিয়ে নেই তারা। বেশি টাকা দিয়েই গোলাপ কিনে পছন্দের মানুষকে ভালোবাসার কথা জানায়। এক শ্রেণীর তরুণ-তরুণীরা যে অর্থে ভালোবাসা দিবস পালন করে আসলেই কী ভালোবাসা দিবসের মানে তাই? এর মানে কি পার্কে বসে বেহায়পনা?। দু’জন নারী-পুরুষের নোংরামী? নাকি অন্য কিছু? প্রকৃত ঘটনা না জেনেই ভালোবাসার নামে ব্যাপক বাড়াবাড়ি করা হয়। নাকি জেনেও এমনটা করা হয়? তা অবশ্য বোধগম্য নয়। যা শান্তির ধর্ম ইসলাম বা দেশের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থাও সমর্থন করেনা। ভালোবাসা দিবসেই শুধু ভালোবাসা থাকবে এ রকম কী? যদি না হয় তাহলে ভালোবাসা দিবসের নামে এতো বাড়াবাড়ি কেন? দিবসটির পরের দিন পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনা। যা এক ধরণের সুযোগ সন্ধানীদের দ্বারা ঘটে থাকে। যা একেবারেই অনাকাঙ্খিত। এ ধরণের ঘটনা কারো প্রত্যাশিত নয়। কিন্ত ভালবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে যা করা হয় তা সত্যি বাড়াবাড়ি। ভালবাসা দিবসের সঠিক ঘটনা না জেনেই এই বাড়াবাড়ি করা হয়। ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায় তাতে প্রকৃত ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আর এখন তা হাসি-আনন্দের মধ্যে দিয়ে কাটানো হয়। ভালাবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি উল্লেখ করা হলো। জানা যায়, রোমের দ্বিতীয় সম্রাট ক্লডিয়াস এর আমলে ধর্মযাযক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ছিলেন শিশু প্রেমিক ও খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারক। আর রোম সম্রাট ছিলেন দেব-দেবীর পূজায় বিশ্বাসী। সম্রাটের পক্ষ থেকে তাকে দেব-দেবীর পূজা করতে বলা হয়। কিন্ত তিনি তা অস্বীকার করায় তাকে কারাবন্দী করা হয়। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কারাবন্দী হওয়ার পর অনেক যুবক-যুবতী তাকে

দেখতে আসতো ও ফুল উপহার দিত। তারা বিভিন্ন উৎসাহমূলক কথা বলে তাকে উদ্দীপ্ত রাখতো। এক কারারক্ষীর অন্ধ মেয়েও তাকে দেখতে যেতো। প্রাণ খুলে কথা বলতো। এক সময় ওই অন্ধ মেয়ে ভ্যালেন্টাইনের প্রেমে পড়ে যায়। ভ্যালেন্টাইনের চিকিৎসায় মেয়েটি চোখ ফিরে পায়। এ কথা সম্রাটের কানে গেলে সম্রাট ২৬৯ খ্রীষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারী তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে এ রকম অনেক কথা প্রচলিত রয়েছে। আর সেই একটি দুঃখের দিনকে সমাজের যুবক-যুবতীরা যা করে তা প্রকৃত ঘটনার পরিপন্থী ও বাড়াবাড়ি। ভালবাসার শেষ নেই। ভালবাসা পবিত্র জিনিস। ভালবাসা না থাকলে পৃথিবীও হয়তো সঠিক নিয়মে চলতো না। ভালবাসার জন্যই পৃথিবী আজ এত সুন্দর। তবে পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর ন্যায় বাংলাদেশে ভালবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে যা করা হয় তা মেনে নেওয়ার মত নয়। এ ধরণের কর্মকান্ড কোন সভ্য মানুষের দ্বারা হতে পারেনা। ভালবাসা দিবস মানে প্রেমিক-প্রেমিকা একসাথে ঘুরে বেড়ানো, পার্কে বসে নোংরামি করার নাম নয়। এ ছাড়াও ভালবাসা যায়।

ভালবাসা নিজের গর্ভধারিণী মা, জন্মদাতা পিতা ও ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশী মানুষের সাথেও করা যায়। যে ভালবাসাতে অন্তর্নিহিত সুখ রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে ভালবাসা দিবস উপলক্ষে আমাদের সমাজে তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী ও প্রেমিক যুগলরা যা করে সেটা কখনই মেনে নেওয়ার মত নয়। এই বাড়াবাড়িতে অনেক সময় তরুণ-তরুণী ও যুবক-যুবতীদের দেখা স্বপ্নগুলো নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। যা পরের দিন পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে। ভালবাসার নামে নোংরামি বাদ দিয়ে সত্যিকারের ভালবাসায় দীক্ষিত হওয়া দরকার। ভালোবাসা অনন্ত। এর নির্দিষ্ট সীমা রেখা নেই। নির্দিষ্ট দিনে পালন

করেই ভালোবাসার প্রকৃত স্বাদ পাওয়া সম্ভব নয়। অনেক সময় দেখা যায়, গর্ভধারিণী মা বাজার থেকে ছেলেকে কম দামের ছোট একটি জিনিস কিনে আনতে বললেও মনে থাকেনা। কিন্তু প্রেমিকার জন্য ঠিকই ধার করে হলেও ফুল অথবা অন্য জিনিসপত্র কিনে দেওয়া হয়। এটার নাম ভালবাসা নয়। ইসলামও এ ধরণের ভালবাসাকে সমর্থন করেনা। তাই সমাজের সকলের উচিত নিজ নিজ পরিবারের মা, বাবা, ভাই-বোন এবং সমাজের অবহেলিত মানুষকে ভালবাসা। যে ভালবাসার মধ্য দিয়ে সকলের মাঝে সুখ ও শান্তি বিরাজ করে। যে ভালবাসার মধ্য দিয়ে নিজ পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতি সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।

        লেখক
ছাত্র ও সাংবাদিক

খবর ২৪ ঘণ্টা/আরএস

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST