বাগমারা প্রতিনিধি: বাগমারার বড়বিহানালী ইউনিয়নের বিলসুতি বিলের খাস জলাশয়ের অবৈধ মাছ চাষ বন্ধ ও বিল উন্মুক্ত রাখার দাবীতে বেড়াবাড়ী, খালিশপুর ও সিন্দুরলং গ্রামের জনসাধারনের পক্ষে ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর বিলসুতি বিল উন্মুক্ত রাখার দাবীতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাগমারা উপজেলাধীন ৪নং বড়বিহানালী ইউপির অন্তর্গত বেড়াবাড়ী, খালিশপুর ও সিন্দুরলং এলাকার জনসাধারণ জে,এল নং ১৮৭ সিন্দুরলং মৌজার খাস ও নিজস্ব ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি জলমহলের কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ওই এলাকার আব্দুর রশিদ, আব্দুর রশিদ প্রাং, আকমার হোসেন, জালাল শেখ, সোবহানগণ মাছ চাষের উদ্যোগ নেওয়ায় এলাকাবাসী তথা মৎস্যজীবিদের রুটি রুজির উপরে হস্তক্ষেপ করে চলেছে। ইহাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে তারা মাছ ধরতে না পেরে সংসার নিয়ে অত্যান্ত করুন জীবনযাপন করছে। জরুরী ভিত্তিতে বিলসুতি বিল উন্মুক্ত জলাশয় ঘোষনা করে এলাকার মৎস্যজীবিদের অধিকার রক্ষা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে
সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বড়বিহানালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান মিলনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন মৎস্যজীবি সপ্রদায় বিলসুতি বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বিলসুতি বিল উন্মুক্ত রাখার দাবী জানান। তিনি আরও দাবী জানান এই বিলটি বিগত শত শত বছর যাবৎ এলাকার স্থানীয় জনসাধারণ দেশীয় মাছের বাহিদা পূরন এবং কৃষি কাজে সেচ দেওয়ার জন্য উক্ত বিলসুতি বিলের পানি ব্যবহার করে আসছে। তাই শত শত জনসাধারনের স্বার্থে বিলসুতি বিল উন্মুক্ত জলাশয় হিসেবে ঘোষনা করা দরকার। তা না হলে যে কোন সময় শান্তি শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘœ সৃষ্টি হতে পারে।
আর/এস