ঢাকাবুধবার , ২০ মে ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিরাট কোহলিরা এখন ফাস্ট বোলিং ভালো খেলেন যে কারণে!

khobor
মে ২০, ২০২০ ৪:০৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

খবর২৪ঘন্টা স্পোর্টস ডেস্ক: কপিল দেবের আগে সে অর্থে ভারতে কোন এক্সপ্রেস বোলার ছিলেন না। শুরুর দিকে মুশতাক আলি আর কপিল দেবের আগে কারসান ঘাউরি মধ্যম গতির বোলার ছিলেন। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটে প্রথম গতির বোলার কপিল। দেব। তারপর জাভাগাল শ্রীনাথ, জহির খান, ইরফান পাঠান, মোহাম্মদ শামি, উমেষ যাদব, ভুবনেশ্বর কুমার আর জসপ্রিত বুমরাহরা এসেছেন। এখন ভারতীয় পেস বোলিং যথেষ্ঠ ধারালো ও প্রচণ্ড গতিরও।

একই সাথে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরাও পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে আগের চেয়ে অনেক স্বচ্ছন্দ ও সাবলীল। সেটা কি জাতীয় দলের নেটে ওসব দ্রুত গতির বোলারদের নিয়মিত খেলে খেলে?

প্র্যাকটিসে সত্যিকার ফাস্ট বোলিং মোকাবিলা করেই কি রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, চেতেশ্বর পুজারা, আজিঙ্কা রাহানে আর লোকেশ রাহুলরা বিশ্বের যে কোন ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে আজ এত স্বচ্ছন্দে খেলেন?

বেশিরভাগের ধারণাই এটা। সেটা অমূলক না হবারই কথা। কারণ নেটে কোয়ালিটি ও প্রচণ্ড গতির ফাস্ট বোলিং নিয়মিত মোকাবিলা করলে মাঠে গিয়ে আর ভয়-ডরের কিছু থাকে না। সময় নিয়ে স্বচ্ছন্দে খেলা যায়।

কিন্তু ভেতরের খবর হলো- উমেষ যাদব, জহির খান, মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা আর বুমরাহদের বিপক্ষে নেটে নিয়মিত ব্যাটিংটাই শেষ কথা নয়। আসলে ভারতীয় উইলোবাজরা আগের চেয়ে ফাস্ট বোলিং ভাল খেলেন অন্য কারণে। তারা যে প্রচণ্ড গতির বোলারদের বলও অনেক বেশি সময় নিয়ে খেলতে পারেন, তার কারণ ভিন্ন।

আগেই জানা টিম ইন্ডিয়ার কোচিং স্টাফে রঘু নামে একজন আছেন, যিনি বিশেষভাবে নির্মিত প্লাস্টিক স্টিকে প্রচন্ড গতিতে বল ছুঁড়ে ব্যাটসম্যানদের সাহস অনেক বেশি বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার ছুঁড়ে দেয়া বলের গতি কখনো কখনো ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে। যাতে করে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মাঠে গিয়ে ১৪০-১৪৫ কিলোমিটার গতির বল খেলতে কোনোই অসুবিধা হয়নি।

তামিম ইকবালের সাথে ফেসবুক লাইভে সেই রঘুর কথা বলে গিয়োছিলেন রোহিত শর্মাও। কাল সোমবার লাইভে এসে একই কথা বললেন বিরাট কোহলিও। শুধু বললেনই না, আসলে রঘু কি করেন, তার স্টিক দিয়ে সাইড আর্ম অ্যাকশনে ছুড়ে দেয়া বল কিভাবে ব্যাটসম্যানদের উপকারে আসছে, তাদের ফাস্ট বোলিং খেলা সহজ হচ্ছে- সে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিরাট পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের যে ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলার ধরণ, সাহস ও কৌশল উন্নত হয়েছে- তার পেছনে রঘুর বড় অবদান।

২০১৩-২০১৪ ও ২০১৫ সালের দিক থেকেই এই পরিবর্তনটা শুরু ঘুর অবদানের কারণে। কোহলি বলেন, ‘তিনি দেশের ক্রিকেট দলের জন্য কাজ করতে নিবেদিতপ্রাণ। ক্রিকেটটা খুব ভাল বোঝেন। কার ব্যাটে ভালমত বল আসছে না। পায়ের কাজ ভাল হচ্ছে না, তিনি বুঝতে পারেন। এ কারণেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা এখন ফাস্ট বোলিং ভাল খেলেন, বেশি সময় নিয়ে খেলতে পারেন ।’

কোহলি জানান, রঘু যেদিন খুব জোরে বল ছোড়ে সেদিন ১৫০ থেকে ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে সাইড আর্ম বল ছোড়ে। তিনি বলেন, ‘এমনিতে ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে ধারাবাহিকভাবে বল ছুড়তে পারে। রঘুকে নেটে খেলে, তার স্টিকে প্রচন্ড গতিতে ছুড়ে দেয়া বলে আমার ব্যক্তিগতভাবে অনেক উপকার হয়েছে। নিয়মিতভাবে তার ওই ১৫০ প্লাস কিলোমিটার গতিতে ছুঁড়ে দেয়া বলের বিপক্ষে প্র্যাকটিস করার পর ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় মনে হয় বাড়তি সময় পাচ্ছি। এসব ছোট ছোট বিষয়গুলো কিন্তু ভাল খেলার সহায়ক উপাদান।’

তামিমকে ধন্যবাদ দিয়ে বিরাট বলেন, ‘খুব একটি ভাল বিষয়ের অবতারনা করেছেন তামিম ভাই। আসলে আমাদের এত স্বচ্ছন্দে আর সময় নিয়ে ফাস্ট বোলিং খেলতে দেখে সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারেন না এর পিছনের কারণ কি? সেখানে যে রঘুর একটা বড়সড় ভূমিকা আছে। আপনি যখন প্র্যাকটিসে অত জোরের বল খেলবেন তখন মূল মাঠে তার চেয়ে কম গতির বল খেলাটা বরং সহজ হয়ে যায়। সময় বেশি মেলে। আর অনুশীলনে সেই কাজটি করে দিচ্ছেন রঘু। তার পরিশ্রমের আসলে কোন মূল্য হয় না। সেটা প্রাইসলেস।’

খবর২৪ঘন্টা/নই

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।