রাজশাহীর পুঠিয়ার ধলাট গ্রামে বিয়ের দাবিতে দুই দিন যাবত প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে গোলাপি বেগম (৩০) নামের প্রেমিকা। সে রাজশাহী কোর্ট এলাকার আব্দুল জলিলের মেয়ে। গোলাপি রাজশাহীর একটি ক্লিনিকে সেবিকার কাজ করে।
শুক্রবার বিকাল তিনটা থেকে গোলাপি তার প্রেমিকা মেহেদীর বাড়িতে অবস্থান করছে। এদিকে সে আসার পর থেকে মেহেদীর পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেছে। প্রেমিকা গোলাপি একাই দুই দিন ধরে অবস্থান করছে তার প্রেমিকের বাড়িতে।
গোলাপি জানায়, ধলাট গ্রামের মোন্তাজ আলীর ছেলে মেহেদী হাসানের সাথে তিন বছর যাবত সম্পর্ক রয়েছে তার। এর মাঝে বিয়ের আশ্বাসে দৈহিক মেলামেশাও করেছে তারা। তিন বছর ধরে সম্পর্ক করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সহযোগিতা নিয়েছে মেহেদী। এখন সে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে চাকরি পাওয়ার পর বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করছে বিয়ে না করার জন্য। এখন সে আমার সাথে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
গত মাসেও আমি একবার এসেছিলাম তাদের বাড়িতে। তাদের পক্ষ থেকে বিয়ের আশ্বাস দিলে বাড়িতে ফিরে যাই। কিন্তু পরে তারা কোন যোগাযোগ করেনি। তাই কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের শিবপুর হাট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি এবং তার বাসায় গিয়েছিলাম মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছি। এর আগেও এসেছিল। তখন তাদের মধ্যে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। মেহেদীর পরিবার বাড়িতে নাই।
পুঠিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে ওই মেয়েটি কিছুই জানায়নি। কোনো জনপ্রতিনিধিও এব্যাপারে আমাকে কোনো তথ্য দেয়নি।
বিএ/