বিএনপির নেতাকর্মীরা দীর্ঘ ১৫ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের সাথে লড়াই করে হামলা, মামলা, খুন, গুমের শিকার হয়েও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে চালিয়ে গেছেন। গণতন্ত্র পুনঃপতিষ্ঠার এই সুদীর্ঘ লড়াইয়ে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীরা নিজেদের রক্ত দিয়ে, বনে জঙ্গলে নির্ঘুম রাত্রিযাপন করে, পারিবারিক সুখ শান্তিকে বিসর্জন দিয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের অমানবিক নির্যাতন শিকার করেও রাজপথে থেকেছেন এবং আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক এই দলটির ত্যাগী নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগ ও দলের প্রতি অকুণ্ঠ ভালোবাসার জোরেই নিজেদের দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তবে, ১৬ বছরের জেল জুলুম, লড়াই সংগ্রামের পর ক্লান্ত নেতাকর্মীরা ৫ আগস্ট স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন জুলাই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর। ৫ই আগস্টের পর দীর্ঘ দিন ধরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার রাজনৈতিক নিষ্পেষণের শিকার বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও তাদের নেতাকর্মীরা নতুন উদ্যোমে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন। দীর্ঘ দিন পর স্বাধীনভাবে, পুলিশি বাধা ছাড়াই সভা-সমাবেশ, কর্মী সম্মেলন করার সুযোগ পায় রাজনৈতিক দলগুলো। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো বিএনপির নেতাকর্মীরাও আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি, দল গঠন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে জনগণের দ্বারস্থ হচ্ছেন। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির নেতাকর্মীরা দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু, দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যকার অন্তর্দ্বদন্দ্বের খবর কেন্দ্রের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
রাজশাহী বিএনপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব :
‘বিএনপির ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত রাজশাহী বিএনপি এখন বিভিন্ন বলয়ের পারস্পরিক কোন্দল, আধিপত্য বিস্তার সহ নানাবিধ কারণে দেখা দিয়েছে বিভাজন। বেশ কয়েক বছর থেকেই রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি বেশ কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বেশ কয়েকটি গ্রুপে বিভক্তি হওয়ার ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যেও যথেষ্ট বিভেদ দেখা যাচ্ছে। চলমান অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য রাজশাহীতে বিএনপি আগের মতো অপ্রতিরোধ্য অবস্থানে নেই বলেও অনেকের ধারণা। বেশ কয়েক বছর থেকেই চলমান এই অন্তর্কলহ ৫ই আগস্টের পর বিশেষ করে রাজশাহী মহানগর বিএনপিতে চরম পর্যায়ে পৌছেছে। এর ফলে রাজশাহীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা, বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র নেতাকর্মীদের একাংশের দাবী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও পারস্পরিক কোন্দলের অন্যতম ইন্ধনদাতা হচ্ছেন সাবেক রাসিক মেয়র ও এমপি এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জনাব মিজানুর রহমান মিনু। তিনি রাজশাহী বিএনপিতে চলমান রাজনীতির বাইরে থাকলেও রাজশাহী বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বলয় তৈরি করে রেখেছেন বলে অভিযোগ আছে। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিকে জনাব মিনুর অনুসারীরা যথেষ্ট সহযোগিতা প্রদান করেন না। বর্তমান চলমান অন্তর্দ্বন্দ্ব বিষয়ে রাজশাহী মহানগর বিএনপির বেশকয়েকজন নেতাকর্মীর সাথে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন মিনুর অনুসারীরা বিভিন্ন সময় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে মহানগর বিএনপিতে অস্থিরতা তৈরি ও চলমান বিভেদকে আরও উস্কে দিচ্ছেন। মিনুর অনুসারীদের অনেকেই বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সঙ্গে নেই বলেও জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ঘোষিত রাজশাহী মহানগর বিএনপির কমিটি থেকে বাদ পড়েন মিজানুর রহমান মিনু। এরপর, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর বুলবুল-মিলন কমিটি বিলুপ্ত করে বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ইশাকে আহ্বায়ক ও মামুনুর রশিদকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্যের রাজশাহী মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয় কেন্দ্র থেকে। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ৫ মার্চ ৬১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়। উক্ত থেকেও বাদ পড়েন তিনি। উক্ত কমিটিতে রাজশাহী শাখা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলওয়ার হোসেন, ওয়ালিউল হক রানা, আসলাম সরকার, শফিকুল ইসলাম শাফিক, বজলুল হক মন্টু, জয়নাল আবেদীন শিবলী এবং সদস্য সচিব হিসেবে মামুন অর রশিদ এর নাম ঘোষণা করা হয়। জনাব মিনু গত বছরের ২২ আগস্ট দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছিলেন । কিন্তু, পরবর্তীতে প্রাথমিক তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী তার অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হওয়ায় ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে দলকে অভিযোগ প্রদান করে বিভ্রান্ত না করার জন্য তাকে গত বছরের ৫ই সেপ্টেম্বর জনাব রহুল কবীর রিজভি স্বাক্ষরিত একটি দলীয় চিঠিতে সতর্কীকরণ বার্তা প্রেরণ করা হয়েছিল বলে তথ্যসূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর নেতাকর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জোরদারে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে তৎপর থাকার কথা থাকলেও দলের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে কমিটিতে বিভিন্ন বলয়ের নেতাকর্মীদের অন্তর্ভুক্তি ও অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে রাজশাহীতে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করা সক্ষম হচ্ছে না।
গত ৮ জানুয়ারি মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা ও সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সাতটি থানার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপরই মিজানুর রহমান মিনু’র ইন্ধনে তার অনুসারীরা পালটা থানা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। পারস্পরিক কোন্দলের মীমাংসার পরিবর্তে পালটা পালটি কর্মসূচি পালন, কমিটি ঘোষণা, সভা-সমাবেশ করা ও ব্যক্তি প্রভাব বিস্তারে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভাজন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দলের মধ্যকার বিভাজন ও পালটা পালটি কমিটি ঘোষণা প্রসঙ্গে মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক নজরুল হুদা কিছুদিন আগে দলের বিভাজন ও বিভক্তির পেছনে মিজানুর রহমান মিনু কাজ করছেন বলে গণমাধ্যমে অভিযোগ করেছিলেন। এছাড়াও, বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীদের অভিযোগ মিনু আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে লিয়াঁজু করে চলেছেন। জনাব মিনুর মতো একজন প্রবীণ ও অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মহানগর বিএনপিতে পারস্পরিক কোন্দলের মীমাংসা করে ঐক্য বজায় রাখতে যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখাচ্ছেন না বলেও অনেকের ধারণা। তার অনুসারীরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলীয় শৃঙ্খলা বিনষ্ট , দখলদারিত্ব ও প্রভাব বিস্তার করে রাজশাহী মহানগর বিএনপির রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থির করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। নেতাকর্মীরা বলছেন রাজশাহীতে বিএনপির শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন পারস্পরিক কোন্দল ভুলে কেন্দ্র নির্ধারিত আহ্বায়ক কমিটিকে সাহায্য করা।
মিনু কে ঘিরে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে বিতর্ক :
সম্প্রতি ২৫ শে জানুয়ারি’ দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বিএনপিতে এগিয়ে মিনু, প্রার্থী ঠিক না হলেও মাঠে জামায়াত’ এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদটি প্রকাশের ফলে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ এহেন সংবাদ প্রকাশ সঠিক গণতান্ত্রিক চর্চার পরিপন্থী। নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ এখনো দেওয়া হয়নি। দল থেকেও আগামী নির্বাচনে রাজশাহী-২ (মহানগর) আসন সহ অন্যান্য আসন গুলোতে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেখানে দলীয়ভাবে কোনো প্রার্থী চূড়ান্ত হয় নি সেখানে জনাব মিনু কে ভোটের মাঠে এগিয়ে রেখে প্রকাশিত সংবাদটি হাস্যকর ও চাটুকারিতার মধ্যে পড়ে। প্রকাশিত সংবাদটি প্রসঙ্গে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা বলেন,
“বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান গণতন্ত্রের চর্চায় বিশ্বাসী। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। দলের মধ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্যক্রম পরিচালনায় তিনি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পন্থা চর্চা করতে আমাদের সর্বদা তাগিদ দেন। গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ হিসেবে জনাব তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে জেলা, থানা ও মহানগর কমিটি অর্থাৎ তৃণমূল পর্যায়ের সকল নেতাকর্মীকে নিয়ে তাদের সুচিন্তিত মতামত বা সুপারিশের ভিত্তিতে আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য যোগ্য ও সর্বজনগৃহীত প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এই ক্ষেত্রে যে কারো নাম আসতে পারে। এক বা একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর নামও সিলেকশন হতে পারে। এখন, নেতাকর্মীরা জনাব মিনু, জনাব ঈশা, বুলবুল ভাই, শফিকুল, মামুন কিংবা আমি যার বা যাদের নামই সুপারিশ করবেন তা কেন্দ্রে পাঠানো হবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মনোনীত নাম গুলো থেকে পরবর্তীতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ঠিক করবেন কাকে মনোনয়ন দিবেন। আমরা তখন কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলীয়ভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করবো। দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই নির্বাচনের প্রার্থীতা নিয়ে বা ভোটের মাঠের আগাম চিত্র নিয়ে লেখালেখি করা অনুচিত বলে আমি মনে করি।”
এই বিষয়ে যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুল হক মন্টু বলেন, “প্রতিটা দলের কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে। আমাদের দলেরও আছে। যেহেতু রাজশাহী -২ আসন মহানগরের ভিতরে। তাই, মহানগর কমিটি, থানা কমিটি যে নাম গুলো সুপারিশ করবে কেন্দ্র সেখান থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিবে। দল এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নি। আমরা দেখেছি অতীতে অনেক হাই প্রোফাইল নেতাও মনোনয়ন পাননি। তাই এখনই নির্বাচনের প্রার্থীতা নিয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশ করা অযৌক্তিক।”
মিনু কে ঘিরে প্রকাশিত এই সংবাদটির তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির অনেক নেতাকর্মী।
দলীয় ঐক্যের আবশ্যকতা :
আসন্ন নির্বাচন প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের জন্যই ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতিযোগিতা বহুল নির্বাচন হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের রাজনীতির প্রাঙ্গণে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সমীকরণ। প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল আসন্ন নির্বাচন কে কেন্দ্র করে ভোটারদেরকে নিজ নিজ শিবিরে আকৃষ্ট করতে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। আসন্ন নির্বাচনে ইসলামী দল গুলোর জোটবদ্ধ হয়ে অংশগ্রহণ করার একটা আভাস ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। তদুপরি, ছাত্রনেতারাও নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে ভোটের মাঠে নামতে প্রস্তুত। মিলিয়ে বলা যায় যে , ভোটের মাঠের লড়াইয়ে বিএনপিকে সামনে বেশ কিছু অগ্নি পরিক্ষা দিতে হতে পারে। সামনের প্রতিযোগিতা পূর্ণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের জন্য বিএনপির প্রয়োজন পারস্পরিক কোন্দল মিটিয়ে, নিজেদের মধ্যকার ভেদাভেদ ভুলে বিভিন্ন বলয়ে বিভক্ত না হয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করা। দ্বন্দ্ব নিরসনে অভিজ্ঞ ও প্রবীণ নেতাকর্মীদের নিজেদের অহমিকা ভুলে এক্ষেত্রে দ্বায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নতুবা, বিরাজমান দলীয় কোন্দল আগামী নির্বাচনে বিএনপির জন্য অশনিসংকেত হয়ে উঠতে পারে।
বিএ..